কার্যবিধিমালা, ১৯৯৬
(Rules of Business, 1996)
গণপ্রজাতন্ত্রী
বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৫ (৬) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এবং এই বিষয়ে পূর্বেকার
সকল বিধি এবং আদেশ বাতিলক্রমে রাষ্ট্রপতি সন্তুষ্ট হইয়া সরকারের কার্যাবলী বণ্টন ও
পরিচালনার জন্য নিম্নোক্ত বিধিমালা প্রণয়ন করিলেন।
প্রথম পরিচ্ছেদ
সাধারণ
১।
সংক্ষিপ্ত শিরনামা এবং প্রবর্তন
(i) এই বিধিমালা
"কার্য বিধিমালা, ১৯৯৬" নামে অভিহিত হইবে।
(ii) এই বিধিমালা
অবিলম্বে বলবৎ হইবে।
২।
সংজ্ঞা।
(i) বিষয় বা প্রসঙ্গের
পরিপন্থি কিছু না থাকিলে এই বিধিমালায়—
(এ) "অনুচ্ছেদ
(Article)" বলিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কোনো অনুচ্ছেদকে
বুঝাইবে।
(বি) "সংযুক্ত দপ্তর
(Attached Department)" বলিতে কোনো মন্ত্রণালয়/বিভাগের সহিত সরাসরি
সম্পকযুক্ত এবং সরকারি কর্তৃক সেই হিসাবে ঘোষিত কোনো দপ্তরকে বুঝাইবে।
(সি) "অধিশাখা
(Branch)" বলিতে উপসচিব অথবা সমপমযার্দা সম্পন্ন কোনো কর্মকর্তার অধীন কতিপয়
শাখার সমষ্টিকে বুঝাইবে।
(ডি) "কার্য
(Business)" বলিতে বিবেচ্য কোনো নির্দিষ্ট বিষয় এবং বিষয়টির নিষ্পত্তির সকল
কার্যকেই বুঝাইবে।
(ই) "বিষয়
(Case)" বলিতে বিবেচ্য কোনো নির্দিষ্ট বিষয় এবং বিষয়টির নিষ্পত্তির ক্ষেত্রেই
ইহার সহিত সম্পর্কিত এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যথা-চিঠিপত্র, নোট এবং অথবা
বিষয়সমূহের আওতায় অথবা এইগুলি সহিত সম্পর্কিত পূর্বতন যে কোনো কাগজপত্রকে বুঝাইবে।
(এফ) "বিভাগ
(Division)" বলিতে একটি পৃথক ও সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সরকারি কার্য পরিচালনার
জন্য দায়ী এমন একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রশাসনিক ইউনিটকে বুঝাইবে, যাহা সরকার কর্তৃক
সেই হিসাবে ঘোষিত।
(জি) “মন্ত্রণালয়
(Ministry)" বলিতে বিভাগ বা বিভাগ সমষ্টি সমন্বয়ে গঠিত মন্ত্রণালয় বুঝাইবে।
(এইচ) "অধস্তন অফিস (Subordinate Office)" বলিতে সংযুক্ত দপ্তর হিসাবে
ঘোষিত নয় এবং সাধারণভাবে কোনো মন্ত্রণালয়/বিভাগের সহিত প্রত্যক্ষ যোগাযোগের নাই
এমন কোনো সরকারি অফিসকে বুঝাইবে।
(আই) "তফসিল
(Schedule)" বলিতে এই বিধিমালার তফসিলকে বুঝাইবে।
(জে) "সচিব
(Secretary)" বলিতে একটি বিভাগ বা একটি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সচিবকে (ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ) বুঝাইবে।
(কে) "সচিবালয়
(Secretariat)" বলিতে বিভাগ বা মন্ত্রণালয়সমূহের অফিসমূহকে একত্রিতভাবে
বুঝাইবে।
(এল) "শাখা
(Section)" বলিতে সহাকারী সচিব/সিনিয়র সহকারী সচিবের অধীন মন্ত্রণালয়/বিভাগের
মূল কার্য সম্পাদন ইউনিটকে বুঝাইবে। (এম) "অনুবিভাগ (Wing)" বলিতে যুগ্ম
সচিব অথবা অতিরিক্ত সচিবের অধীন মন্ত্রণালয়/বিভাগের স্বতন্ত্র প্রকৃতির
সুনির্দিষ্ট দায়িত্বাবলী পরিচালনার জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ উপ-বিভাগকে বুঝাইবে।
(ii) এই বিধিমালায়
ব্যবহৃত সকল শব্দ এবং অভিব্যক্তি, কিন্তু যাহা সংজ্ঞায়িত হয় নাই, উহা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে, অনুরূপ অর্থ
বুঝাইবে।
৩। কার্য
বণ্টন (Allocation of Business)
(i) প্রধানমন্ত্রী যখনই
প্রয়োজন, এক বা একাধিক বিভাগ লইয়া একটি মন্ত্রণালয় গঠন করিতে পারিবেন।
(ii) এই বিধিমালার
তফসিল-১ কে (পৃথকভাবে প্রকাশিত) নির্দেশিত পদ্ধতিতে সরকারের কার্যাবলী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের
মধ্যে বণ্টন করিতে হইবে।
(iii) প্রত্যেক বিভাগে
সরকারের একজন সচিব/অতিরিক্ত সচিব/যুগ্ম সচিব এবং তাহার অধীনস্থ এমন সকল অন্যান্য
কর্মকর্তা থাকিবেন, যাহা প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করিবেন: শর্ত থাকে যে, একই
ব্যক্তি একই মন্ত্রণালয়ের একাধিক বিভাগের সচিব হইতে পারিবেন।
(iv) প্রধানমন্ত্রী একটি
বিভাগ বা একটি মন্ত্রণালয় অথবা একাধিক বিভাগ বা একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব
প্রধানমন্ত্রীর একজন মন্ত্রীর বা একজন প্রতিমন্ত্রীর উপর ন্যস্ত করিতে পারিবেন।
শর্ত থাকে যে, এইরূপে
অর্পিত হয় নাই এমন বিভাগ/মন্ত্রণালয় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকিবে।
(v) সচিব
বিভাগ/মন্ত্রণালয়কে শাখা নামে অভিহিত কয়েকটি কার্য সম্পাদানী ইউনিটে সংগঠিত
করিবেন:
শর্ত থাকে যে, যদি কোন
ইউনিট শাখার অনুরূপ না হয়, তাহা হইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সহিত পরামর্শক্রমে
ইহাকে অন্য কোনরূপ সংগঠিত করা যাইবে।
(vi) সচিব স্থায়ী আদেশ
বলে বিভাগ/মন্ত্রণালয়ের কার্যাবলী তাঁহার অধীনস্থ বিভাগের বিভিন্ন শাখা বা
অন্যান্য ইউনিটের মধ্যে বণ্টন করিবেন।
(vii) সচিবালয় বা সংযুক্ত
দপ্তরে সম্পাদিত কার্যবলী ব্যতিরেকে সরকারের অন্যান্য কার্যবলী প্রধানমন্ত্রী
কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত এজেন্সী এবং অফিসের মাধ্যমে পরিচালিত হইবে।
১৩এ।
(i) এই
বিধিমালায় যাহা কিছুই বর্ণিত থাকুক না কেন, অ-রাজনৈতিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
কর্মকালীন সময়ে প্রধান উপদেষ্টা জনস্বর্থের যেইরূপ উপযোগী মনে করিবেন, ঐরূপ
শর্তাদিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষ সহকারী (Special Assistants) নিয়োগ করিতে
পারিবেন।
(ii) প্রধান উপদেষ্টা
বিশেষ সহাকারীকে এক বা একাধিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, যাহা বিধি-৩ (iv) তে
বর্ণিতভাবে তাহার সরাসরি দায়িত্বে ন্যস্ত থাকিবে, এর দায়িত্ব অর্পণ করিতে পারিবেন,
এবং বিশেষ সহকারী আদেশে বর্ণিত বিষয় বা বিষয়সমূহের নিষ্পত্তি করিবেন।
(iii) বিশেষ সহকারী
প্রধান উপদেষ্টা বরাবর নিজ হস্তে লিখিতভাবে পদত্যাগ করিতে পারিবেন, এবং প্রধান
উপদেষ্টা যে কোন সময় বিশেষ সহকারীর নিয়োগের সমাপ্তি ঘটাইতে পারিবেন।
[এস,
আর, ও নং ০৪-আইন/২০০৮-মপৰি-৪/১/২০০৭-বিধি, তারিখ: ৯ জানুয়ারি, ২০০৮ দ্বারা বিধি-৩এ
সন্নিবেশিত। তবে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিল হওয়ার অনুচ্ছেদটি অকার্যকর।]
১৩বি।
(i) এই বিধিমালায় যাহা
কিছুই বর্ণিত থাকুক না কেন, প্রধানমন্ত্রী জনস্বার্থের পক্ষে যেরূপ শর্তে উপযোগী
বলিয়া মনে করেন ঐরূপ শর্তে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারী নিয়োগ করিতে
পারিবেন।
(ii) প্রধানমন্ত্রী যে
কোন বিষয় বা বিষয়সমূহের জন্য পরামর্শমূলক কাজ প্রতিপালনের জন্য বা উক্ত বিষয়ে
তাহাকে সহায়তা করার জন্য উপদেষ্টা বা বিশেষ সহকারীকে দায়িত্ব প্রদান করিতে
পারিবেন। ইহা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী সময়ে যেরূপ বিশেষ কাজ অর্পণ করিবেন ঐরূপ বিশেষ
কাজ উপদেষ্টা বা বিশেষ সহকারী সম্পাদন করিবেন।
(iii) উপদেষ্টা বা বিশেষ
সহকারী প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন, এবং
প্রধানমন্ত্রী যে কোন সময় উপদেষ্টা বা বিশেষ সহাকারী নিয়োগ বাতিল করিতে পারিবেন)
[এস,
আর, ও নং ১৩-আইন/২০০৯-মপবি-৪/১/২০০৭-বিধি, তারিখ: ২২ জানুয়ারি, ২০০৯ দ্বারা বিধি-৩বি
সন্নিবেশিত]
৪। কার্য
সম্পাদন (Transaction of Business)
(i) অন্যান্য মন্ত্রণালয়
এবং বিভাগের সহিত পরামর্শ করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভা ও
ইহার কমিটিসমূহের নিকট বিষয়াদি উপস্থাপনের বিষয়ে এই বিধিমালার বিধান সাপেক্ষে এই
বিধিমালার তফসিল-১ এর অধীনে মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে বণ্টনকৃত সকল কার্য দায়িত্বপ্রাপ্ত
মন্ত্রী কর্তৃক অথবা তাঁহার সাধারণ বা বিশেষ নির্দেশের অধীনে নিষ্পন্ন হইবে।
(ii) মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
ব্যতীত কোনো গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।
(iii) যেক্ষেত্রে কোন
প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী থাকেন, ঐক্ষেত্রে যে সকল বিষয় বা যে শ্রেণির বিষয়াদি
প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী কর্তৃক নিষ্পন্ন হইবে, প্রধানমন্ত্রী অথবা প্রধানমন্ত্রীর
অনুমোদনক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী উহা আদেশ দ্বারা সুনির্দিষ্ট করিয়া দিবেন।
(iv) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অন্য কোনোরূপ আদেশ দেওয়া না হইলে সংসদে মন্ত্রী তাঁহার
মন্ত্রণালয়/বিভাগের কার্য পরিচালনার বিষয়ে দায়ী থাকিবেন।
(v) সচিব
মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রশাসনিক প্রধান হইবেন। তিনি উহার প্রশাসন শৃঙ্খলা এবং উহাকে
প্রদত্ত কার্যাবলী যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য দায়ী থাকিবেন। তিনি তাঁহার
মন্ত্রণালয়/বিভাগ সংযুক্ত দপ্তর এবং অধীনস্থ অফিসমূহের এই বিধিমালা সর্তকভাবে
প্রতিপালনের জন্যও দায়ী থাকিবেন। সচিব মন্ত্রণালয়/বিভাগের কার্য সম্পাদন সম্পর্কে
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীকে অবহিত রাখিবেন।
(vi) সচিব
মন্ত্রণালয়/বিভাগ, উহার সংযুক্ত দপ্তর এবং অধীনস্থ অফিসমূহের প্রিন্সিপাল
একাউন্টিং অফিসার হইবেন, এবং মন্ত্রণালয়/বিভাগে, উহার সংযুক্ত দপ্তরে এবং অধীনস্থ
অফিসমূহে বণ্টনকৃত তহবিলসমূহ আপাতত এলবৎ বিধিমালা/আইন অনুযায়ী যাহাতে ব্যয়িত হয়,
উহা নিশ্চিত করিবেন.
শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ
সুপ্রীম কোর্টে বণ্টনকৃত তহবিলের ক্ষেত্রে কোর্টের রেজিস্ট্রারার প্রিন্সিপাল
একাউন্টিং অফিসার হইবেন এবং তিনি উক্ত তহবিল আপাতত বলবৎ বিধিমালা/আইন অনুযায়ী
যাহাতে ব্যয়িত হয়, উহা নিশ্চিত করিবেন।[মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগের প্রজ্ঞাপন নং মপবি-৪/১/৯৯-বিধি/৫৯, তারিখ: ১৫ মে, ২০০১ দ্বারা উপবিধিটি
সংশোধিত]
(vii) সচিবালয়
নিদের্শমালা এবং মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের ও সংযুক্ত দপ্তরসমূহের কার্য নিষ্পন্ন
করার পদ্ধতি সম্পর্কিত অন্যান্য নির্দেশাবলি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারী করা
হইবে।
(viii) যদি একটি নির্দিষ্ট
কার্য কোনো মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত হইবে, সে সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দিলে
সিদ্ধান্তের জন্য উহা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
(ix) মন্ত্রণালয়/বিভাগের
ভূমিকা নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে সীমিত থাকিবে—-
(এ) নীতি নির্ধারণ;
(বি) পরিকল্পনা প্রণয়ন;
(সি) পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মূল্যায়ন;
(ডি) আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত পদক্ষেপসমূহ;
(ই) সংসদে দায়িত্ব পালনে মন্ত্রীকে সহায়তা প্রদান;
(এফ) উচ্চ পর্যায়ের কর্মচারী ব্যবস্থাপনা, যথা,
(১) সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সদস্য/পরিচালকের পদমর্যাদার নিচে নয়
এমন কর্মকর্তাগণ এবং (২) সংযুক্ত দপ্তর ও অধীনস্থ অফিসমূহের ক্ষেত্রে জাতীয় বেতন
স্কেল-৫ এর পর্যায়ের নিচে নয়, এইরূপ কর্মকর্তাগণ;
(জি) এইরূপ অন্যান্য বিষয়/বিষয়াদি যাহা
প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত হইবে।
(x) অন্যরূপ নির্দেশনা না
থাকিলে, বিভিন্ন করপোরেশন কর্তৃক সরকারের নিকট প্রেরিত সকল প্রকার লিখিত যোগাযোগ
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবকে সম্বোধন করিয়া করিতে হইবে এবং সরকারের যাবতীয়
লিখিত যোগাযোগ করপোরেশনসমূহের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নামে করা যাইবে।
৫। আদেশ,
দলিল, সম্মতিনামা এবং চুক্তিসমূহ (Orders, instruments, agreements and contracts)
(i) সরকারের সকল নির্বাহী
কার্য রাষ্ট্রপতি নামে সম্পাদিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য করিতে হইবে।
(ii) সকল মন্ত্রী,
প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং অনুরূপ পদমযার্দা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ, এবং এই
বিধিমালার তফসিল-২ এ উল্লিখিত কর্মকর্তাগণ রাষ্ট্রপতির নামে প্রণীত ও সম্পাদিত
আদেশ ও অন্যান্য দলিলাদি স্বাক্ষর দ্বারা প্রমাণিকরণ করিতে পারিবেন;
শর্ত থাকে যে, তফসিলে
অন্তর্ভুক্ত নাই এমন কোন কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির
পক্ষে কোন আদেশ বা দলিল প্রমাণিকরণের জন্য ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন।
(iii) আন্তর্জাতিক
সম্মতিনামা ও ট্রীটি প্রমাণিকরণ এবং বিদেশে বা আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সংস্থায়,
নেগোশিয়েশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকরণের সঙ্গে যুক্ত আদেশ ও দলিলাদির
প্রমাণিকরণের পদ্ধতি সম্পর্কে পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় নিদের্শাবলি
জারী করিবে।
(iv) রাষ্ট্রপতির পক্ষে
চুক্তি সম্পাদন ও এইরূপ চুক্তিসমূহ কার্যকরণ এবং সকল সম্পত্তির নিশ্চিকরণ সম্পর্কে
নির্দেশনাবলি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জারি করিবে।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রেরণ
(Reference to the President and the Prime
Minister)
৬।
রাষ্ট্রপতির নিকট সরাসরি প্রেরণ (Reference to the President directly)
(i) এই বিধিমালার তফসিল-৩
এ নির্দিষ্টকৃত বিষয়াদি রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপন করিতে হইবে।
(ii) এই বিধিমালার
তফসিল-৬ এ নির্দেশিত সাময়িক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য কাগজপত্র রাষ্ট্রপতির অবগতির
জন্য উপস্থাপন করিতে হইবে।
৭।
প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির নিকট প্রেরণ (Reference to the President and the
Prime Minister)
এই বিধিমালার তফসিল-৪ এ
নির্দিষ্টকৃত সকল ধরনের বিষয়ে আদেশ জারির পূর্বে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির
নিকট উপস্থাপন করিতে হইবে।
৮।
প্রধানমন্ত্রী নিকট প্রেরণ (Reference to the Prime Minister)
এই বিধিমালার তফসিল-৫ এ
নির্দিষ্টকৃত বিষয়াদি প্রধানমন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করিতে হইবে। এই বিধিমালার
তফসিল-৭ এ নির্দেশিত সাময়িক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য কাগজপত্র প্রধানমন্ত্রীর নিকট
উপস্থাপন করিতে হইবে।
৯।
রাষ্ট্রপতির, নিকট, প্রধানমন্ত্রীর নিকট, প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির নিকট
বিষয়াদি উপস্থাপন করার পদ্ধতি (Manner of submission of cases to the President,
the Prime Minister, the Prime Minister and the President)
রাষ্ট্রপতি,
প্রধানমন্ত্রী অথবা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির নিকট কোন বিষয় উপস্থাপন করিতে হইলে
সংশ্লিষ্ট ঘটনা ও সিদ্ধান্তের বিষয় করিয়া একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সংক্ষিপ্ত এবং
বস্তুনিষ্ঠ সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন করিতে হইবে। সার-সংক্ষেপে দায়িত্বপ্রাপ্ত
মন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত থাকিবে এবং যেখানেই উপযুক্ত হয়, একটি
খসড়া যোগাযোগপত্র (draft communication) সংযুক্ত থাকিবে।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ আন্তঃমন্ত্রণালয় পরামর্শ
(Inter-Ministerial Consultation)
১০।
মন্ত্রণালয় এবং বিভাগসমূহের মধ্যে পরামর্শ (Consultation among Ministries and
Division)
(১) কোন বিষয়ের বক্তব্যের
সহিত একাধিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ সম্পৃক্ত থাকিলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়সমূহ/বিভাগসমূহ কর্তৃক বিবেচিত এবং তাহাদের মতামত যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ না
হওয়া পর্যন্ত কোন আদেশ জারি করা যাইবে না বা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নিকট অথবা
মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা যাইবে না। যে সকল ক্ষেত্রে মতামত চাওয়া হইয়াছে, উহাদের
প্রকৃত রেফারেন্সকৃত বিষয়ে যথাশীঘ্র সম্ভব এইরূপ পরামর্শ করিতে হইবে:
শর্ত থাকে যে জরুরি
ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে এই প্রয়োজনীয়তা পরিহার করা যাইবে পারে, তবে
বিষয়টি অতঃপর যথাশীঘ্র সম্ভব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/ বিভাগের গোচরীভূত করিতে হইবে।
(২) যদি সংশ্লিষ্ট
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ মতৈক্যে উপনীত হইতে না পারে এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য
মন্ত্রণালয়ের সহিত পরামর্শ করার পর মন্ত্রী বিষয়টি কার্যকর করার জন্য অবিচল থাকেন,
তাহা হইলে উহা প্রধানমন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করিতে হইবে;
শর্ত থাকে যে, বিষয়টি
প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দায়িত্বাধীন কোন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সহিত সম্পৃক্ত হইলে
উহা প্রধানমন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করার পূর্বে সংশ্লিষ্ট অন্য মন্ত্রণালয়/বিভাগের
চূড়ান্ত মতামত গ্রহণ করিতে হইবে।
(৩) কোন বিষয়ে পরামর্শের
জন্য এক মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক অন্য মন্ত্রণালয়/ বিভাগে প্রেরণ করা হইলে যে
সমস্ত প্রাসংগিক ঘটনাবলি এবং বিষয়াদির কারণে উক্ত প্রেরণ আবশ্যকীয় হইয়া পড়ে, উহা
স্পষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে।
(৪) এমনকি যেক্ষেত্রে
পরামর্শ করার প্রয়োজন নাই, সেইক্ষেত্রেও একটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ কোনো বিষয়ে প্রাপ্ত
বা জারিকৃত পত্রের অনুলিপি অন্য যেকোনো মন্ত্রণালয়/বিভাগে অবগতির জন্য প্রেরণ
করিতে পারে বা কোন দেখাতে পারে, যদি উক্ত পত্র বা বিষয় অন্য মন্ত্রণালয়/বিভাগের
কার্য সম্পাদনে সহায়ক হইবে বলিয়া মনে করা হয়।
(৫) প্রধানমন্ত্রী যে কোন
মন্ত্রণালয়/বিভাগ হইতে কোন বিষয় তলব করিতে পারেন।
(৬) কোন মন্ত্রী,
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর পূর্ব জ্ঞাতসারে যে কোন মন্ত্রণালয়/বিভাগের কোন বিষয় দেখিতে
চাহিতে পারেন, যদি উহা তাঁহার মন্ত্রণালয়/বিভাগের কোন বিষয় নিষ্পত্তির জন্য
প্রয়োজন হয়। অনুরূপভাবে অর্থমন্ত্রী যে কোন মন্ত্রণালয়/বিভাগের অর্থ সংক্রান্ত
প্রশ্ন জড়িত এমন কোন বিষয় দেখার জন্য তলব করিতে পারেন। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক
মন্ত্রী যে-কোনো মন্ত্রণালয়/বিভাগে কোন বিষয়, যাহাতে আইনগত বিবেচনা জড়িত রহিয়াছে,
দেখিতে চাহিতে পারেন।
(৭) কোন মন্ত্রী যদি অন্য
কোন মন্ত্রণালয়/বিভাগের কোন বিষয় দেখিতে চাহিয়া থাকেন এবং উহা সম্পর্কে আরও অধিক
ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন বোধ করেন, তিনি মন্ত্রীর সহিত পারস্পরিক সম্মতিক্রমে
ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। মতৈক্য না হইলে বিষয়াটি প্রধানমন্ত্রীর নিকট সিদ্ধান্তের
জন্য উপস্থাপন করিতে হইবে।
১১।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সহিত পরামর্শ (Consultation with Cabinet Division)
কোন মন্ত্রণালয়ই
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সহিত পূর্ব পরামর্শ ব্যতীত এমন কোন আদেশ জারি করিতে অথবা
অন্যভাবে কিছু করিবে না, যাহাতে রহিয়াছে—
(১) এই বিধিমালায় ব্যাখ্যা;
(২) কার্য বন্টনের পরিবর্তন সম্পৃক্ত কোন
মন্ত্রণালয়/বিভাগের পুনর্গঠন;
(৩) বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের মধ্যে কার্য
বণ্টনের কোন পরিবর্তন;
(৪) রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী,
প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীবর্গের পারিশ্রমিক এবং বিশেষ অধিকার; এবং
(৫) এই বিধিমালার অধীনে এই বিভাগের উপর ন্যস্ত
অন্য কোন বিষয়।
১২।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সহিত পরামর্শ (Consultation with Ministry of Public
Administration)
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
কর্তৃক সাধারণভাবে অথবা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হওয়ার ক্ষেত্র ব্যতীত কোনো
মন্ত্রণালয় এইরূপ কোনো বিষয় সমূহের সহিত সম্পৃক্ত কোনো আদেশ জারি বা আদেশ জারির
কর্তৃত্ব দান করিবে না, যাহাতে রহিয়াছে—
(i) পদ সৃষ্টি বা বিলুপ্তি অথবা কোন সংযুক্ত
দপ্তরের মর্যাদার পরিবর্তন সম্পৃক্ত করিয়া কোন মন্ত্রণালয়/বিভাগ অথবা সংযুক্ত
দপ্তরের পুনর্গঠন;
(ii) শাখা ব্যতীত কোন মন্ত্রণালয়/বিভাগে কার্য
ইউনিট গঠন;
(iii) সংযুক্ত দপ্তর সৃষ্টি ও পুনর্গঠন;
মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের জাতীয় বেতন স্কেল-৯ এবং তদূর্ধ্ব যে সকল পদ বাংলাদেশ
সরকারি কর্মকমিশনের আওতা বহির্ভূত রাখা হইয়াছে, উহাতে প্রাথমিক নিয়োগ;
(v) সরকার কর্তৃক চাকরি কাঠামোতে সময়ে সময়ে সংশোধন
সাপেক্ষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়/বিভাগের ও সংযুক্ত দপ্তরের সহায়ক কর্মচারী ব্যতীত
সকল সার্ভিসের কর্মকর্তাবৃন্দের চাকরির শর্তাবলি পরিবর্তন সংক্রান্ত;
(vi) নন-সেক্রেটারিয়েট অফিসারগণের
মন্ত্রণালয়/বিভাগে বা সংযুক্ত দপ্তরসমূহে পদায়ন;
(vii) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহিত সম্পর্কযুক্ত ব্যয়ের
প্রস্তাবসমূহ;
(viii) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত
বিধিমালা এবং আদেশসমূহের ব্যাখ্যা;
(ix) প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার পর প্রকল্পখাতের
কর্মচারীগণের রাজস্বখাতে স্থানান্তকরণ;
(x) নিয়োগের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারি
কর্মকমিশনের আওতা হইতে কোন পদ বা সার্ভিসকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নসহ পদ বা সার্ভিসের
নিয়োগের বিধিমালা।
১৩। অর্থ
বিভাগের সহিত পরামর্শ (Consultation with Finance Division)
(১) অর্থ বিভাগের সহিত
পূর্ব পরামর্শ ব্যতীত কোন মন্ত্রণালয়ই অনুমোদিত বাজেট বহির্ভূত এমন কোন আদেশ জারি
করিবে না যাহা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে প্রজাতন্ত্রের আর্থিক বিষয় প্রভাবিত করে
এবং বিশেষ করিয়া যাহাতে রহিয়াছে—
(i) অর্থ ছাড়করণ, রাজস্বসহ ব্যয় বা হস্তান্তর,
প্রকৃত বা সম্ভাব্য, অথবা ইহার বিপরীতে নিশ্চয়তা প্রদান;
(ii) যে ব্যয়ের জন্য বাজেটে কোনো সংস্থান নাই;
(iii) কর, শুল্ক, সেস অথবা ফি ধার্য,
(iv) ঋণ প্রবর্তন;
(vi) বাজেট মঞ্জুরীর আওতায় প্রধান খাতসমূহের মধ্যে
পুনঃ উপযোজন;
(vii) হিসাব সমন্বয় অথবা বাজেট প্রাক্কলনের
পদ্ধতিতে পরিবর্তন সাধন;
(viii) ইতোপূর্বে বণ্টনকৃত না হইয়া থাকিলে বৈদেশিক
মুদ্রায় প্রাপ্তি ও ব্যয়;
(ix) সরকারি চাকরিজীবীগণের এবং পাবলিক
করপোরেশনসমূহের চাকরির শর্তাবলির (x) ক্ষেত্রে এইরূপ পরিবর্তন সাধন, যাহাতে আর্থিক
বিষায়দি জড়িত রহিয়াছে; এবং অর্থ বিভাগ কর্তৃক প্রণীত বিধিমালার ব্যাখ্যা;
(২) যে সকল বিষয়ে অর্থ
মন্ত্রণালয়ের পূর্ব সম্মতি প্রয়োজন, এবং যাহা প্রত্যাখ্যাত হইয়াছে, উক্ত প্রস্তাব
পুনঃ অগ্রায়ন করা যাইবে না। তবে যদি কোন মন্ত্রণালয়/বিভাগ উক্ত প্রস্তাব অগ্রায়ন
করিতে চায়, তাহা হইলে উহা অর্থ বিভাগের অভিমতসহ সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর
নিকট উপস্থাপন করিতে পারেন।
(৩) অনুমোদিত বাজেট
বহির্ভূত প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি আদেশ নিরীক্ষার জন্য অর্থ বিভাগের
মাধ্যমে নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
(৪) সকল অর্থনৈতিক ও
আর্থিক বিষয় হইতে উদ্ভূত প্রশ্নে বিশেষ করিয়া, নিম্নলিখিত বিষয়ে অর্থ বিভাগের সহিত
পরামর্শ করিতে হইবে:-
(i) রপ্তানি কর্মসূচী এবং আমদানি নীতি প্রণয়ন;
(ii) বাণিজ্যের নেগোশিয়েশন এবং বিনিময় চুক্তি;
(iii) অভিশুল্ক নীতি নির্ধারণ;
(vi) মূল্য নিরূপণ নীতি নির্ধারণ;
(v) বিনিয়োগ নীতি নির্ধারণ; এবং
(vi) শ্রমনীতি নির্ধারণ।
"১৪।
আইন ও বিচার বিভাগের সহিত পরামর্শ (Consultation with the Law and Justice
Division.)
(১) আইন ও বিচার বিভাগের
সহিত পরামর্শ করিতে হইবে-
(i) যে কোন বিষয় হইতে উদ্ভূত সকল আইনগত প্রশ্নে;
(ii) যে কোন প্রসিডিং হইতে উদ্ভুত আইনের ব্যাখ্যা
সম্পর্কে;
(iii) মৃত্যুদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে ক্ষমার কোন
আবেদন এবং অন্য কোন দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর বা কোন দণ্ড মওকুফ,
স্থগিত বা হ্রাসকরণ সম্পর্কে পরামর্শদানের পূর্বে;
(iv) কোন আদালতে দায়েরকৃত কোন ফৌজদারী বা দেওয়ানী
মামলায় সরকারকে জড়িত করার পূর্বে; এবং
(v) যখনই সরকারের বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারী বা দেওয়ানী
মামলা দায়ের করা হয়।
(২) আইন ও বিচার বিভাগের
মাধ্যমে ব্যতীত এবং উক্ত বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি ব্যতিরেকে কোন মন্ত্রণালয়ই
সরাসরি অ্যাটর্নি জেনারেলের সহিত পরামর্শ করিবে না।
(৩) অ্যাটর্নি জেনারেল
এবং আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে মতপার্থক্য থাকিলে, বিষয়টি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক
মন্ত্রীর নিকট সিদ্ধান্তের জন্য উপস্থাপন করিতে হইবে।
১৪এ।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সহিত পরামর্শ (Consultation with the Legislative
and Parliamentary Affairs Division)
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক
বিভাগের সহিত পরামর্শ করিতে হইবে—
(i) আইন প্রণয়নের সকল প্রস্তাব সম্পর্কে;
(ii) আইন প্রণয়ন প্রস্তাব সম্পর্কে উদ্ভূত যে কোন
আইনগত প্রশ্নে;
(iii) গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি প্রস্তুতকরণ, আন্তজাতিক
সম্মতিনামা আন্তর্জাতিক আইন ঘোষণা এবং সংশোধনের আন্তর্জাতিক কনভেনশন এর ক্ষেত্রে;
(iv) যে কোন আইনের ব্যাখ্যা সম্পর্কে;
(v) সংবিধিবদ্ধ ক্ষমতাবলে কোন বিধি, প্রবিধান,
উপ-আইন, ইত্যাদি জারি বা উহা জারির ক্ষমতা প্রদানের পূর্বে; (২) লেজিসলেটিভ ও সংসদ
বিষয়ক বিভাগের মাধ্যমে ব্যতীত এবং উক্ত বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি ব্যতিরেকে
কোন মন্ত্রণালয়ই সরাসরি অ্যাটর্নি জেনারেল সহিত পরামর্শ করিবে না।
[এস আর ও নং
২৭৩-আইন/২০০৯-মপৰি-৪/১/২০০৯-বিধি, তারিখ: ২৩ ডিসেম্বর, ২০০৯ দ্বারা বিধি ১৪
সংশোধিত এবং বিধি ১৪এ সংযোজিত]
(৩) অ্যাটর্নি জেনারেল
এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের মধ্যে মতপার্থক্য থাকিলে, বিষয়টি আইন, বিচার
ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর নিকট সিদ্ধান্তের জন্য উপস্থাপন করিতে হইবে।]
১৫।
পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহিত পরামর্শ (Consultation with Ministry of
Foreign Affairs)
বাংলাদেশের বৈদেশিক
সম্পর্ক প্রভাবিত করে এমন কোন বিষয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহিত পূর্ব পরামর্শ
ব্যতিরেকে নিষ্পত্তি করা যাইবে না।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ
মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠানের পদ্ধতি
(Procedure for the meeting of the Cabinet)
১৬।
মন্ত্রিসভায় যে সকল বিষয় আনা হইবে (Cases to be brought before the Cabinet)
নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ
মন্ত্রিসভায় আনয়ন করিতে হইবে—
(i) অধ্যাদেশ জারিসহ আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত
বিষয়সমূহ।
(ii) যুদ্ধ ঘোষণা বা যুদ্ধ অবসানের ঘোষণা এবং
তদসংক্রান্ত বিষয়াদি।
(iii) জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারি তদন্ত
কমিশন নিয়োগ এবং এইরূপ কমিশনের প্রতিবেদন বিবেচনার প্রস্তাবসমূহ।
(iv) কোন মন্ত্রী তাহার উপর ন্যস্ত যে কোন
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মন্ত্রিসভার কোন সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা লাভ করিতে আগ্রহ
প্রকাশ করেন।
(v) যথোপযুক্ত আইনগত পরামর্শ ব্যতিরেকে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বা সরকারের অভিপ্রায় অনুযায়ী দায়েরকৃত কোন
মামলা প্রত্যাহার করার যে কোন প্রস্তাব।
(vi) সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণীসমূহ।
(vii) জরুরি-অবস্থা ঘোষণা বা প্রত্যাহার সংক্রান্ত
বিষয়সমূহ।
(viii) ঋণ প্রবর্তনের প্রস্তাবসমূহ।
(ix) যে সম্পর্কিত প্রস্তাবসমূহ—
(এ) সম্পূর্ণরূপে সরকারি বা পাবলিক সেক্টরের
মালিকানায় নতুন করপোরেশন বা কোম্পানিসমূহ গঠন;
(বি) সরকার বা পাবলিক সেক্টর করপোরেশন কর্তৃক নব
গঠিত করপোশন/কোম্পানী বা বিদ্যমান করপোরেশন বা কোম্পানীসমূহের শেয়ার মূলধান
বিনিয়োগ;
(সি) পাবলিক সেক্টরের প্রতিষ্ঠান সমূহের বিলুপ্তি
এবং/অথবা একত্রীকরণ;
(ডি) যে সকল বিষয়ে দুই বা ততোধিক মন্ত্রীর মধ্যে
মত পার্থক্য দেখা দেয় এবং মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়;
(ই) অতীব গুরুত্বপূর্ণ, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এবং
প্রশাসনিক নীতি জড়িত এমন বিষয়সমূহ; এবং
(এফ) কোন বিদ্যমান নীতি বা মন্ত্রিসভার
সিদ্ধান্তের পরিবর্তন সম্পর্কিত প্রস্তাবসমূহ।
(x) বাজেট, বার্ষিক অর্থ
বিবরণী পেশ করার পূর্বে।
(xi) বিদেশের সংগে চুক্তি
এবং সম্মতিনামা, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস খোলা এবং/অথবা বন্ধ করা সম্পর্কিত
নেগোসিয়েশনের বিষয়সমূহ।
(xii) প্রধানমন্ত্রী
সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা মন্ত্রিসভার নিকট উপস্থাপনের প্রয়োজনবোধ করেন, সেই
সকল বিষয়।
(xiii) রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভার
নিকট উপস্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন এমন সকল বিষয়।
১৭।
মন্ত্রিসভা কর্তৃক নিষ্পত্তির পদ্ধতি (Method of disposal by the Cabinet)
(i) মন্ত্রিসভার নিকট প্রেরিত বিতরণের মাধ্যমে;
অথবা
(ii) মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে; অথবা
(iii) মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে,
শর্ত থাকে যে, প্রধানমন্ত্রী/মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুসমর্থন করাইতে হইবে।
মন্ত্রিপরিষদের সচিব,
অতঃপর "মন্ত্রিপরিষদ সচিব" নামে অভিহিত, অথবা যুগ্ম সচিব, মন্ত্রিপরিষদ,
বিভাগ অতঃপর যুগ্ম সচিব, মন্ত্রিপরিষদ অভিহিত, প্রধানমন্ত্রীর সাধারণ বা বিশেষ
আদেশ দ্বারা কোন বিষয় কোন পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি হইবে উহা নিরূপণ করিবেন।
১৮।
মন্ত্রিসভার কমিটিসমূহ (Committees of the Cabinet)
(১)
মন্ত্রিসভা/প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার স্থায়ী কমিটিসমূহ গঠন করিতে পারিবেন এবং
যেইরূপ প্রয়োজন হয়, উহাদের উপর কার্যাদি ন্যস্ত করিতে পারিবেন। এইরূপ কমিটির গঠন ও
কার্যাদি প্রধানমন্ত্রী সংশোধন বা পরিবর্তন করিতে পারিবেন।
(২)
মন্ত্রিসভা/প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের নিমিত্তে এডহক মন্ত্রিসভা
কমিটি গঠন এবং উহার প্রয়োজনীয় কার্যাদি ন্যস্ত করিতে পারিবেন।
(৩) মন্ত্রিসভার
অনুসমর্থনের প্রয়োজন নাই, এমন কোন সিদ্ধান্ত উক্ত কমিটি কর্তৃক গৃহীত হইলে
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাভের পর উহা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের ন্যায় কার্যকর
ক্ষমতা সম্পন্ন হইবে।
(৪) কমিটির সভার আলোচনা
এবং সিদ্ধান্তসমূহের কার্যবিবরণী মন্ত্রিপরিষদ সচিব/যুগ্ম সচিব, মন্ত্রিপরিষদ অথবা
কমিটিকে সহায়তা প্রদানকারী সচিব কর্তৃক মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্যের মধ্যে সাচিবিক
সহায়তা প্রদানকারী সচিব কর্তৃক মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্যের মধ্যে বিতরণ করা হইবে।
(৫) মন্ত্রিসভার
কমিটিগুলোর সাচিবিক, প্রশাসনিক কাজে সহায়তা প্রদানের এবং কর্মকর্তা পর্যায়ে
মন্ত্রণালয়/বিভাগের কার্যাদি সমন্বয় সাধনের জন্য সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ
লইয়া একটি কমিটি গঠন করা যাইতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এইরূপ কমিটির গঠন, গঠন প্রকৃতি
এবং কার্যাদি নির্ধারণ করিবেন।
১৯।
মন্ত্রিসভার নিকট বিষয়াদি উপস্থাপন করার পদ্ধতি (Manner of submission of cases to
the Cabinet)
(১) মন্ত্রিসভার নিকট
উপস্থাপন করিতে হইবে এমন সকল বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব পটভূমিকা ও
প্রাসংগিক তথ্যাদি, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রসমূহ উল্লেখ করিয়া ভারপ্রাপ্ত
মন্ত্রীর সুপারিশসহ বিষয়টির একটি সংক্ষিপ্ত ও সুস্পষ্ট স্মারক অতঃপর
"সার-সংক্ষেপ" হিসাবে উল্লিখিত, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নিকট প্রেরণ
করিবেন। সার- সংক্ষেপটি যথাসম্ভব স্বয়ংসম্পূর্ণ হইতে হইবে সঠিক উপলব্ধির জন্য প্রয়োজন
হইতে পারে। কত প্রস্থ সার-সংক্ষেপ সরবারহ করিতে হইবে তাহা মন্ত্রিপরিষদ সচিব
নির্ধারণ করিয়া দিবেন।
(২) কোন বিষয়ে একাধিক
মন্ত্রণালয়/বিভাগ জড়িত থাকিলে বিধি ১০(১) এর বিধান অনুযায়ী সার-সংক্ষেপে
মন্ত্রণালয়সমূহের সুপারিশ লিপিবদ্ধ থাকিবে, অথবা মত্যৈক না হইয়া থাকিলে মতপার্থক্যের
পয়েন্ট সমূহ এবং প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগের সুপারিশসমূহ উল্লেখ করিতে হইবে।
(৩) ব্যয় বা রাজস্ব হ্রাস
সংক্রান্ত যে কোন প্রস্তাবের ক্ষেত্রেই অর্থ বিভাগের ব্যয়ের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা
কমিশনের মতামতও গ্রহণ করিতে হইবে এবং উহা সার-সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
(৪) মন্ত্রিসভার বৈঠকের
আলেচ্য সূচিতে অন্তর্ভুক্ত জন্য কোন বিষয় অবশ্যই বৈঠকের অন্তত পূর্ণ চারদিন পূর্বে
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পৌছাইতে হইবে।
শর্ত থাকে যে, বিলম্বে
প্রাপ্ত কোন বিষয় আলোচ্য সুচিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাইতে পারে, যদি ইহাতে কোনো জরুরী
প্রশ্ন জড়িত থাকে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কর্তৃক ইহার অন্তর্ভুক্তির জন্য
প্রধানমন্ত্রীর পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করা হইয়া থাকে।
(৫) মন্ত্রিপরিষদ সচিবের
দায়িত্ব হইবে এই মর্মে সন্তুষ্ট হওয়া যে কোন সচিব কর্তৃক দাখিলকৃত কাগজপত্র
সম্পূর্ণ এবং যথাযথরূপে রহিয়াছে।
২০। বিতরণের মাধ্যমে
বিষয়সমূহ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া (Procedure regarding disposal of cases by circulation)
(১) মতামত লিপিবদ্ধ করার
জন্য কোন বিষয় বিতরণ করা হইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রধানমন্ত্রীর আদেশক্রমে যে
সময়ের মধ্যে উহা তাঁহার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে, তাহা সুনির্দিষ্ট করিয়া দিবেন।
যদি কোন মন্ত্রী উক্ত সময়ের মধ্যে তাঁহার মতামত প্রেরণ না করেন, ধরিয়া লইতে হইবে
যে সার-সংক্ষেপের বিধৃত সুপারিশসমূহ তিনি গ্রহণ করিয়াছেন। বিতরণের পর্যায়ে যদি
লক্ষ করা যায় যে, মন্ত্রীগণের মধ্যে মত পার্থক্য রহিয়াছে, তাহা হইলে মন্ত্রিপরিষদ
সচিব মন্ত্রিসভার পরবর্তী নিয়মিত বৈঠকের উহা সিদ্ধান্তের জন্য উপস্থাপন করিবেন।
(২) মন্ত্রিসভার
সিদ্ধান্তের উপর গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে ইহার নিকট প্রতিবেদন এবং কেবল তথ্যের
জন্য পেশকৃত অন্যান্য বিষয় সাধারণত বিতরণের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হইবে।
২১।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের কার্য পদ্ধতি (Procedure regarding meetings of the Cabinet)
(১) সাধারণ কার্যাবলী
আলোচনার জন্য মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক সাধারণতঃ সপ্তাহে একবার মন্ত্রিসভার
সুবিধাজনক দিনে অনুষ্ঠিত হইবে;
শর্ত থাকে যে,
প্রধানমন্ত্রী বৈঠক অনুষ্ঠানের দিন ও সময়ের পরির্বতন করিতে পারিবেন এবং জরুরী
কার্যাবলি আলোচনার জন্য সপ্তাহের যে-কোনো দিনের যে- কোনো সময় মন্ত্রিপরিষদের বিশেষ
বৈঠক আহ্বান করিতে পারিবেন।
(২) মন্ত্রিপরিষদ সচিব
সাধারণত বৈঠক অনুষ্ঠানের তিনদিন পূর্বে আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবিত
বিষয়াদি এবং এই বিষয়ের উপর সার-সংক্ষেপসহ একটি পরিপত্র মন্ত্রীগণের নিকট জারি
করিবেন। বিশেষ সভার ক্ষেত্রে বৈঠক অনুষ্ঠানের তিন দিনের কম সময় পূর্বে পরিপত্র
জারি করা যাইবে পারে।
(৩) বিষয়ের সহিত সম্পৃক্ত
সার-সংক্ষেপ বিতরণ না করিয়া কোন বিষয়ই আলোচনা করা যাইবে না।
শর্ত থাকে যে, ভারপ্রাপ্ত
মন্ত্রীর আবেদনক্রমে প্রধানমন্ত্রী যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, পরিস্থিতি এমন
ছিল যে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সরবরাহ করা সম্ভব হয় নাই, তাহা হইলে প্রধানমন্ত্রী এই
উপবিধির বিধান পরিহার করিতে পারিবেন।
(৪) যদি কোন মন্ত্রী
কর্মস্থল হইতে অনুপস্থিত থাকার কারণে বা অন্য কোন কারণে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত
থাকিতে অপারগ হন, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রী /উপমন্ত্রী, যদি থাকে,
প্রধানমন্ত্রী অনুমতি প্রদান করিলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত থাকিতে পারিবেন এবং
তিনি বিবেচনাধীন বিষয়াদিতে তাঁহার মন্ত্রণালয়ের মতামত ব্যক্ত করিতে পারিবেন।
অধিকন্তু, যদি কোন মন্ত্রী কোন বিশেষ বিবেচ্য বিষয় আলোচনাকালে তাঁহার
প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতি কামনা করেন, তাহা হইলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে
সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রী এইরূপ আলোচনাকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত থাকিতে
পারিবেন।
(৪এ) তত্ত্বাবধায়ক
সরকাররের কর্মকালীন সময়ে বিধি-৩এ এর অধীনে নিয়োজিত বিশেষ সহকারীকে প্রধান উপদেষ্টা
যে-কোনো বা সকল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বা যে-কোনো কমিটি বা কমিটি সমূহের বৈঠকে
উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিতে পারেন।[এস, আর, ও নং
১৭-আইন/২০০৮-মপবি-৪/১/২০০৭-বিধি, তারিখ: ১৯ জানুয়ারি, ২০০৮ দ্বারা (৪৩) অনুচ্ছেদটি
সংযোজিত। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার অনুচ্ছেদটি বর্তমানে
অকার্যকর]
(৪বি) প্রধানমন্ত্রী
বিধি-৩ এর অধীনে নিয়োজিত উপদেষ্টা বা বিশেষ সহকারীকে যে-কোনো বা সকল মন্ত্রিসভার
বৈঠকে বা যে কোন কমিটি বা কমিটিসমূহের বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিতে পারেন।। [এস, আর, ও নং ১৩-আইন/২০০৯-মপবি-৪/১/২০০৭-বিধি,
তারিখ: ২২ জানুয়ারি, ২০০৯ দ্বারা (৪বি) সন্নিবেশিত]
(৫) (i) দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী যদি প্রয়োজনবোধ
করেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব কোন বিষয়ে আলোচনার সময় মন্ত্রিসভার বৈঠকে
উপস্থিত থাকিতে পারিবেন।
(ii) প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করিলে, বিশেষ ক্ষেত্রে
অন্যান্য কর্মকর্তা বৈঠকে উপস্থিত থাকিতে পারিবেন।
(৬) মন্ত্রিপরিষদ
সচিব/যুগ্ম সকল বৈঠকে উপস্থিত থাকিবেন এবং প্রস্তুত করিবেন—
(এ) আলোচনার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ, যাহা
মন্ত্রিসভার বিশেষ নির্দেশনা না থাকিলে নৈব্যত্তিক ধরনের হইবে, এবং
(বি) সিদ্ধান্তসমূহের একটি বিবরণ এবং বিবরণের একটি
কপি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য যথাশীঘ্র উপস্থাপন করিবেন।
(৭) মন্ত্রিপরিষদ সচিব
প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত এই বিবরণের একটি কপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিবর্গের নিকট
বিতরণ করিবেন এবং সিদ্ধান্তসমূহের উদ্ধৃতাংশ প্রয়োজনীয় কার্য ব্যবস্থা গ্রহণের
জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের মন্ত্রী এবং সচিবের নিকট প্রেরণ করিবেন।
(৮) যদি কোন মন্ত্রী মনে
করেন যে, কার্যবিরণী লিপিবদ্ধকরণের ক্ষেত্রে কোন ক্রটি রহিয়াছে বা কোন কিছু বাদ
পড়িয়াছে, তবে তিনি কার্যবিবরণী জারির তিনদিনের মধ্যে উহা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের
গোচরে আনিতে পারেন। এই সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রধানমন্ত্রীর আদেশ গ্রহণ
করিবেন এবং প্রয়োজন হইলে একটি সংশোধনী পত্র জারি করিবেন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের
সরকারি রেকর্ডসমূহ সংশোধন করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবকে অবহিত
করিবেন।
২২।
মন্ত্রিসভার কমিটিসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠানের পদ্ধতি (Procedure regarding meetings of
the Committees of the Cabinet)
(১) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
কর্তৃক অথবা কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে মনোনীত মন্ত্রীর, যিনি সভায় সভাপতিত্ব করিবেন,
নির্দেশক্রমে উহার সাচিবিক সহায়তা প্রদানকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক মন্ত্রিসভার
কমিটিসমূহের বৈঠক আহ্বান করা হইবে। মনোনীত আহ্বায়কের অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠতম
মন্ত্রী বৈঠক আহ্বান করিবেন, এবং উহার সভাপতিত্ব করিবেন।
(২) এডহক কমিটির প্রথম
বৈঠক কমিটি নিয়োগের সাধারণভাবে ১০ (দশ) দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হইবে এবং
মন্ত্রিসভা/প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অন্যরূপ নির্দেশিত না হইলে কমিটি উহার কার্যক্রম
সাধারণভাবে এক মাসের মধ্যে শেষ করিবে।
(৩) সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়/বিভাগের অফিসারগণকে যখন এবং যেইরূপ প্রয়োজন হয় কার্যক্রমের সময় যুক্ত
রাখা যাইতে পারে।
(৪) বিধি-১৯ ও ২১ এর
বিধানবলী, প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাপেক্ষে, মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে বিষয়াদি
উপস্থাপন করার এবং উহার কার্যপদ্ধতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
(৫) মন্ত্রিসভার
কমিটিসমূহের গঠন, বৈঠক, সিদ্ধান্তসমূহের প্রতিবেদনের সকল কপি নিরাপদ সংরক্ষণের
জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাইতে হইবে।
২৩।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের উপর ব্যবস্থা গ্রহণ (Action of Cabinet decisions)
(১) মন্ত্রিসভা বিতরণের
মাধ্যমে অথবা মন্ত্রিসভার কোন বৈঠকে বা মন্ত্রিসভা কমিটির কোন বৈঠকে আলোচনার পর,
যেভাবেই হউক, কোন বিষয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে, সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়/বিভাগ সিদ্ধান্তটিকে কার্যকর করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
(২) মন্ত্রিসভার
সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব উহা সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তাগণের নিকট প্রেরণ করিবেন, কিন্তু মূল কাগজপত্র প্রেরণ করিবেন না। গৃহীত
সিদ্ধান্ত সরকারের সিদ্ধান্ত হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করিতে হইবে এবং
মন্ত্রিসভা/কমিটির বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রীবৃন্দের বিস্তারিত তথ্যাদি প্রকাশ করা
যাইবে না।
(৩) মন্ত্রিসভার
সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণার্থে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/ বিভাগের সচিব
তাহার নিকট প্রেরিত সকল সিদ্ধান্তের একটি রেকর্ড রাখিবেন এবং ইহা বাস্তবায়নের
অগ্রগতির প্রতি দৃষ্টি রাখিবেন। সার-সংক্ষেপ প্রস্তুতকারী মন্ত্রণালয়/ বিভাগের
সচিব হিসাবে অন্য কোন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সহিত পরামর্শ করা বা অবহিত রাখা তাহার
দায়িত্ব হইবে।
(৪) মন্ত্রিপরিষদ সচিব
মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রতি দৃষ্টি রাখিবেন, এবং কোন বিষয়
স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাধারণ বা বিশেষ
অনুমোদনক্রমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাহিলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব উহা
সরবারাহ করিবেন।
(৫) মন্ত্রিপরিষদ সচিব
প্রত্যেক বিষয়ের রেকর্ড সংরক্ষণ করিবেন, যাহাতে অন্তর্ভুক্ত থাকিবে—-
(এ) বিধি-১৯ এর অধীনে জারিকৃত সকল কাগজপত্রের কপি;
(বি) বিধি-২১(২), (৬), (৭) ও (৮) এর অধীনে
প্রস্তুতকৃত সকল কাগজপত্রের কপি; এবং
(সি) বিধি-২২(৪) এর অধীনে প্রাপ্ত সকল দলিলপত্র।
২৪।
মন্ত্রিসভার কাগজপত্রের হেফাজত (Custody of Cabinet Papers)
(১) মন্ত্রিসভার বৈঠকের
সকল কার্যবিবরণী এবং ইহার সহিত প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত সকল রেকর্ডপত্র পঁচিশ
বৎসর পর্যন্ত গোপনীয় দলিল হিসাবে গণ্য হইবে এবং ইহার পর উক্ত রেকর্ডপত্র
ক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট) হিসাবে গণ্য হইবে।
(এস.আর.ও
নং ২৮৮-আইন/২০০৭-মপৰি-৪/১/২০০৭-বিধি, তারিখ: ১২ ডিসেম্বর, ২০০৭ দ্বারা উপবিধি (১)
সংশোধিত) মন্ত্রিগণ তাহাদের নিকট রক্ষিত
নিম্নোক্ত দলিলাদি/কাগজপত্র মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নিকট ফেরত দিবেন—
(এ) বিধি-২০(১) এর অধীনে বিতরণের মাধ্যমে
সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য মন্ত্রিগণের নিকট প্রেরিত সকল কাগজপত্র, তাহাদের মতামত
রেকর্ড করার অব্যবহিত পরে;
(বি) বিধি-২১(২) বা ২২(৪) এর অধীনে মন্ত্রিসভা বা
মন্ত্রিসভা কমিটির কোন বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তের জন্য তাঁহাদের নিকট
প্রেরিত কাগজপত্র, আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার অব্যবহিত পরে; মান
(সি) বিধি-২১(৭) এবং ২২(৪) এর অধীনে মন্ত্রিপরিষদ
সচিব কর্তৃক, সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতাংশ ব্যতিরেকে প্রেরিত আলোচনা বা সিদ্ধান্তসমূহের
রেকর্ডের অনুলিপি, তাহাদের পাঠ করার অব্যবহিত পরে; এবং
(ডি) মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে গৃহীত
ব্যবস্থার প্রতিবেদন বা অবগতির জন্য প্রেরিত অন্যান্য কাগজপত্র, উহা পাঠ করার
অব্যবহিত পরে।
(২) বিধি-২১(৮) এর অধীনে
মন্ত্রিগণ যে সকল কাগজপত্র নিজেদের নিকট রাখিবেন, উহার একটি তালিকা মন্ত্রিপরিষদ
সচিব সংরক্ষণ করিবেন এবং কোন মন্ত্রী কার্যভার পরিত্যাগকালে কাগজপত্রসমূহ
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নিকট ফেরত দিবেন।
(৩) সচিবগণ বিধি-২১ (৭)
এর অধীনে তাঁহাদের নিকট প্রেরিত মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত সমূহ নিজেদের হেফাজতে
রাখিয়া দিবেন এবং দায়িত্বভার পরিত্যাগের সময় তাহারা ঐগুলি তাহাদের
উত্তরাধিকারীগণের নিকট বুঝাইয়া দিবেন।
(৪) উপ-অনুচ্ছেদে (১)
বর্ণিত ক্লাসিফাইড ডক্যুমেন্টসমূহ The National Archives Ordinance, 1983
(Ordinance No. XXXIX of 1983) এর ৯ ধারা অনুসারে জাতীয় আর্কাইভে স্থায়ীভাবে
সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।[এস. আর, ও নং ২৮৮-আইন/২০০৭-মপবি-৪/১/২০০৭-বিধি,
তারিখ: ১০ ডিসেম্বর, ২০০৭ দ্বারা উপবিধি (৪) সংযোজিত]
২৫।
মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের কার্যাবলীর সাময়িক প্রতিবেদন (Periodical reports of
activities of Ministries/ Divisions)
(১) মন্ত্রিসভার অবগতির
জন্য প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগের কার্যাবলির একটি মাসিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করা
হইবে। এইরূপ প্রতিবেদনসমূহ মন্ত্রিগণের অবগতির জন্য তাহাদের নিকট করিতে হইবে।
(২) মন্ত্রিসভার অবগতির
জন্য প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগে সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন
প্রস্তুত করিতে হইবে। এইরূপ প্রতিবেদন মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকের বিষয়সূচী
হিসাবে রাখা হইবে অথবা মন্ত্রিগণের অবগতির জন্য তাঁহাদের নিকট বিতরণ করা হইবে।
(৩) মন্ত্রিসভার অবগতির
জন্য প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক প্রতি অর্থ বৎসরের জন্য ১ জুলাই হইতে ৩০
জুন পর্যন্ত, উহার কার্যক্রমের উহার একটি বিস্তারিত পর্যালোচনা সম্বলিত প্রতিবেদন
প্রস্তুত করিতে হইবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব কর্তৃক আহূত
মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকসমূহে এইরূপ প্রতিবেদন আলোচিত হইবে।
২৬।
বিদেশে প্রতিনিধিদল প্রেরণ সম্পর্কিত প্রতিবেদন (Reports of degations sent
abroad)
(১) সকল খসড়া চুক্তি ও
প্রটোকল অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার নিকট উপস্থাপন করিতে হইবে। গুরুত্বপূর্ণ
প্রতিনিধিদল সম্পর্কিত ব্রীফ উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর
নিকট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করিতে হইবে।
(২) বিদেশে প্রেরিত জাতীয়
পর্যায়ের সকল প্রতিনিধিদল বিদেশ হইতে প্রত্যাবর্তনের পর মন্ত্রিসভার জন্য যথাযথ
একটি সার-সংক্ষেপসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দাখিল করিবেন।
প্রতিনিধিদলের প্রত্যাবর্তনের পর যথাশীঘ্র সম্ভব, কিন্তু এক পক্ষকাল অতিবাহিত হওয়ার
পরে নহে, এইরূপ প্রতিবেদনসমূহ দাখিল করিতে হইবে।
(৩) প্রত্যাবর্তনকারী
প্রতিনিধিদলের নিকট হইতে প্রতিবেদন সংগ্রহ করার দায়িত্ব প্রতিনিধি প্রেরণের
উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয়/বিভাগের উপর ন্যস্ত থাকিবে।
(৪) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক
অন্যরূপ নির্দেশিত না হইলে এইরূপ প্রতিবেদন প্রাপ্তির অব্যবহিত পর মন্ত্রিসভার
বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে উহা অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে।
২৭।
বৈদেশিক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও বিশেষ মিশনগুলির সহিত নেগোসিয়েশনের বিষয়ে প্রতিবেদন
(Reports on negotiation with foreign economic, political and special missions)
(১) যখনই কোন বৈদেশিক
রাষ্ট্র বা এজেন্সীর কোন বিশেষ মিশন দেশে আগমন করে, তাহাদের সহিত নেগোসিয়েশনের
অথবা আলোচনার একটি প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদের নিকট উপস্থাপন করিতে হইবে।
(২) বিধি-২৬(২), (৩), (৪)
এর বিধানবলি প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাপেক্ষে এইরূপ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
পঞ্চম পরিচ্ছেদ
বিবিধ বিধান
(Miscellaneous Provisions)
২৮।
সরকারি তথ্যাদির গোপনীয়তা রক্ষা এবং প্রকাশ (Protection and communication of
official information)
(১) সরকারি দলিলাদি বা
কোন সরকারি বিষয়বস্তু হইতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রাপ্ত তথ্যাদি কোনো সরকারি
কর্মচারী কর্তৃক সংবাদপত্র বা বেসরকারি ব্যক্তিগণের নিকট প্রকাশ করা যাইবে না, যদি
না এই ব্যাপারে তাহাকে সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতা প্রদান করা হইয়া থাকে।
(২) রাষ্ট্রীয় দলিলাদির
ব্যবহার এবং হেফাজতের জন্য বিস্তারিত নির্দেশাবলি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জারী করিবে।
(৩) সকল সংবাদ এবং
তথ্যাদি সাধারণ তথ্য মন্ত্রণালয় বা ইহার অধীনস্থ কোন অফিসের মাধ্যমে সংবাদ মাধ্যমে
ও জনাসাধারণের নিকট প্রকাশ করিতে হইবে। এই ব্যাপারে কি পদ্ধতি অনুসরণ করা হইবে উহা
তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত সাধারণ বা বিশেষ আদেশাবলীর দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
(৪) মন্ত্রীগণ তাঁহাদের
মন্ত্রণালয়ের ব্যাপারে সরকারি মুখপাত্র হিসাবে কাজ করিবেন। সচিব এবং অনুরূপ
অন্যান্য কর্মকর্তা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইলে সরকারের মুখপাত্র হিসাবে কাজ
করিতে পারিবেন। সাধারণভাবে প্রধানমন্ত্রী বা পরারাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন
ব্যক্তি পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহিত পূর্ব পরামর্শ ব্যতীত বৈদেশিক নীতি
সম্পর্কিত কোন বিবৃতি প্রদান করিতে পারিবেন না।
২৯।
বৈদেশিক সরকার/এজেন্সিসমূহের সহিত যোগাযোগের মাধ্যমে (Channels of communication
with foreign government/agencies)
(১) নিম্নোক্ত
উপবিধি-(৩)-এ নির্দেশিত ক্ষেত্র ব্যতীত কোন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/ সংযুক্ত দপ্তর
কর্তৃক অন্য কোন বিদেশি সরকার অথবা বাংলাদেশে অবস্থিত কোন বিদেশী দূতাবাস বা কোন
আন্তর্জাতিক সংস্থার সহিত, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ চুক্তিবদ্ধ বৈদেশিক
সাহায্যের সদ্ব্যবহার সম্পর্কযুক্ত বিষয় ব্যতীত, সকল পত্র যোগাযোগ সাধারণভাবে
পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করিতে হইবে;
শর্ত থাকে যে, পররাষ্ট্র
বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা সময়ে সময়ে যেইরূপ
নির্ধারণ করা হইবে, সেইরূপ শর্ত ও অবস্থাধীনে সরাসরি যোগাযোগের অনুমতি প্রদান করা
যাইতে পারে।
(২) মন্ত্রণালয় কর্তৃক
বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি মিশনগুলির সহিত সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত
বিষয়াবলি সতর্কতার সহিত পালন করিতে হইবে—
(i) বিদেশি মিশনগুলির প্রতিনিধিগণ স্বাগতিক
সরকারের কর্মকর্তাগণের সহিত সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করিবেন, কিন্তু অপরপক্ষ কখনও
অনুরূপ করিতে পারিবেন না;
(ii) মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীগণ
সাধারণত মিশন প্রধান অর্থাৎ রাষ্ট্রদূত/হাই কমিশনার বা চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে
সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ প্রদান করিবেন;
(iii) সচিব/সংযুক্ত দপ্তরের প্রধান/স্বশাসিত
সংস্থাসমূহের প্রধানগণ মিশন করিবেন। যদি মিশন প্রধান ঢাকায় না থাকেন এবং আলচ্য
বিষয়টি অত্যন্ত জরুরী হয়, তবে পদসোপান অনুযায়ী দূতাবাসের দ্বিতীয় কর্মকর্তাকে
সাক্ষাৎ দান করা যাইতে পারে, তবে এইরূপ কর্মকর্তা অন্তত কাউন্সিলার বা প্রথম
সচিবের পদমর্যাদার নিচে হইবে না।
(iv) বিদেশী মিশনগুলির সহিত যোগাযোগের ব্যাপারটি
সাধারণত যুগ্ম সচিব পর্যায় সীমাবদ্ধ থাকিবে, যিনি পদসোপান অনুসারে মিশনের দ্বিতীয়
কর্মকর্তাকে সাক্ষাৎ দান করিতে পারিবেন। তিনি কদাচিৎ তৎপরবর্তী কর্মকর্তাকে
সাক্ষাৎদান করিতে পারিবেন, তবে এইরূপ কর্মকর্তাকে প্রথম সচিবের পদমর্যাদাসম্পন্ন
হইতে হইবে।
(৩) অর্থনৈতিক বা কারিগরী
সাহায্যের জন্য কোন বিদেশি সরকার বা কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার নিকট সকল অনুরোধ
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ অথবা অর্থ বিভাগের মাধ্যমে, যেরূপ প্রযোজ্য হয়, করিতে
হইবে, যাহারা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সম্মত বৈদেশিক সাহায্যের সদ্ব্যবহার
সম্পকিত বিষয়াদি ব্যতীত, বৈদেশিক সরকার এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের
সহিত সকল পত্র যোগাযোগ করিবে।
৩০।
প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরের সহিত যোগাযোগ (Correspondence with Defence Headquarters)
প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর
দপ্তর বা উহার অধীনস্থ সংগঠনগুলির সহিত যোগাযোগ সাধারণত ক্ষেত্রমত প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয়/সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের মাধ্যমে করিতে হইবে।
শর্ত থাকে যে, উহাদের
সহিত সম্পর্কযুক্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়/সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের সাধারণ বা বিশেষ
আদেশ দ্বারা, যেইরূপ নির্ধারিত হইতে সেইরূপ অবস্থায় ও পরিস্থিতিতে সরাসরি পত্র
যোগাযোগ অনুমোদন করা যাইতে পারে।
আরো শর্ত থাকে যে, এই
বিধির বিধানবলি কোন সাময়িক বাহিনীর অধিনায়ক এবং বেসামরিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে
স্বাভাবিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অথবা আন্তঃবিভাগীয় আলোচনায়, যেখানে সার্ভিস
প্রতিনিধিগণকে অংশগ্রহণ করিতে হয়, উহাতে বিঘ্ন সৃষ্টি করিবে না।
৩১।
মন্ত্রণালয়/বিভাগের সহিত প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর কর্তৃক যোগাযোগ (Correspondence by
Defence Headquarters with Ministry/Division)
প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর
কর্তৃক অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সহিত যোগাযোগ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়/সশস্ত্র
বাহিনী বিভাগের মাধ্যমে করিতে হইবে।
৩১এ।
খসড়া বিধি ও প্রবিধির প্রাক-প্রকাশনা (Pre- Publication of draft rule and
regulation)
(১) যেক্ষেত্রে সরকার কোন
বিধি বা প্রবিধান প্রণয়ন বা সংশোধন খসড়া প্রস্তাব প্রাক-প্রকাশনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করে, সেইরূপ কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় নির্ধারণ করত জন মতামত আহ্বাহনের নোটিশসমূহ
উক্ত বিধি বা প্রবিধান সরকারি গেজেটে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের ওয়েব সাইটে
প্রকাশ করিবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ তাহাদের ওয়েব সাইটে ওয়েব সাইটের
ঠিকানাসমসহ বিধি বা প্রবিধান প্রাক-প্রকাশনা সংক্রান্ত নোটিশের কপি কমপক্ষে তিনটি
দৈনিক পত্রিকায় মুদ্রণের জন্য প্রেরণ করিবে।
এই বিধির অধীনে কোন মতামত
পাওয়া গেলে, উক্ত মতামত বিবেচনা করিতে হইবে, এবং উক্তরূপ বিবেচনান্তে প্রয়োজনে
খসড়া বিধি বা প্রবিধি সংশোধন বা পরিবর্তন করিতে হইবে।[এস, আর, ও নং-২৭৬-আইন/২০০৮-মপবি-১৯/১/২০০৭-বিধি, তারিখ: ৩০ সেপ্টেম্বর,
২০০৮ দ্বারা বিধি ৩১এ সন্নিবেশিত]
৩২।
সাধারণ (General)
(১) সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব তাঁহার এখতিয়ারভুক্ত মন্ত্রণালয়/বিভাগের এই বিধিমালার
সতর্ক প্রতিপালনের জন্য দায়ী থাকিবেন এবং যেক্ষেত্রে তিনি মনে করেন যে এই সকল বিধি
পালনে কোন বাস্তব বিচ্যুতি ঘটিয়াছে, সেক্ষেত্রে তিনি বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী
এবং প্রয়োজনবোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গোচরীভূত করিবেন।
(২) এই বিধিমালার
ব্যাখ্যা সম্পর্কে কোন সন্দেহ দেখা দিলে তাহা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নিকট প্রেরণ
করিতে হইবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর আদেশ গ্রহণ
করিবে এবং ইহার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
(৩) এই বিধিমালার অনুসংগী
নির্দেশাবলী যখনই প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হইবে তখনই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক
জারী করা হইবে।
(৪) যুগ্ম সচিবের
পদমর্যাদার নিচে নহে, এমন কর্মকর্তা সরকারি কাজের প্রয়োজনে মন্ত্রীর সহিত সাক্ষাৎ
করার উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন। ইচ্ছা করিলে মন্ত্রী মৌখিক আলোচনার জন্য তাঁহার
মন্ত্রণালয়ের যে কোন কর্মকর্তাকে ডাকিতে পারিবেন।
(৫) যখনই কোন সংযুক্ত
দপ্তর, স্বশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের প্রধান অথবা অন্য কোন কর্মকর্তা তাঁহার
মন্ত্রীর সহিত মৌখিক আলোচনা করেন, তখনই তিনি প্রথম সম্ভাব্য সুযোগে তাঁহার সচিবকে
আলোচনার বিষয়াদি অবহিত করিবেন।
৩৩।
বিধিমালার ব্যত্যয় (Departure from Rules)
কোন একটি বিষয়ে বা
শ্রেণিকৃত হইতে ব্যত্যয় প্রধানমন্ত্রী যখনই প্রয়োজন মনে করিবেন, তখনই তিনি এই
বিধিমালা হইতে ব্যত্যয় অনুমোদন বা পরিমার্জন করিতে পারিবেন।
৩৪।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার (Non-Party Caretaker Government)
যে সময়কালে নির্দলীয়
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতাসীন থাকিবেন "প্রধানমন্ত্রী" এবং
"মন্ত্রী" এর নিকট প্রেরণ বলিতে যথাক্রমে "প্রধান উপদেষ্টা"
এবং "উপদেষ্টা" এর নিকট প্রেরণ বুঝাইবে এবং এই বিধিমালা প্রয়োজনীয়
সংশোধনীসহ প্রযোজ্য হইবে। [বিশ্লেষণ:
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার ৩৪ নং বিধিটির কার্যকারিতা নেই।]
তফসিল-১
(পুস্তিকারে স্বতন্ত্রভাবে মুদ্রিত)
তফসিল-২
রাষ্ট্রপতির
নামে আদেশ এবং অন্যান্য দলিলাদি প্রণয়ন ও কার্যকরণের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত
কর্মকর্তাবৃন্দের তালিকা।
(১) গণপ্রজাতন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকারের সচিব, অতিরিক্ত সবিচ, যুগ্ম সচিব, উপসচিব, সিনিয়র সহাকারী সচিব,
সহকারী সচিব, অথবা অন্য কোন কর্মকর্তা যাহাকে পদাধিকারবলে উপরে উল্লিখিত যে কোন
মর্যাদা প্রদান করা হইয়াছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়/পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
মহাপরিচালক, পরিচালক। বাস্তবায়ন, পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের
মহাপরিচালক/পরিচালক/উপপরিচালক/সহকারী পরিচালক/গবেষণা কর্মকর্তা। পরিকল্পনা কমিশন
বা মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রধান, যুগ্মপ্রধান, উপপ্রধান, সহকারী প্রধান, গবেষণা
কর্মকর্তা।
(২) তাঁহাদের
এখতিয়ারভুক্ত বিষয়াদি ব্যাপারে—
(এ) বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বা
অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ডের চেয়ারম্যান অথবা সদস্য
অথবা প্রধান প্রকৌশলী।
(বি) সরকারের অন্যান্য এজেন্সী/ডিপার্টমেন্টসমূহের
কর্মকর্তাবৃন্দ যাহা সরকার সময়ে সময়ে বিজ্ঞপ্তি দ্বারা নির্ধারিত করিবেন।
(৩) রাষ্ট্রপতির সাময়িক
সচিব অথবা রাষ্ট্রপতির সচিব অথবা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের উপসচিব অথবা সিনিয়র
সহাকারী সচিব অথবা সহকারী সচিব।
(৪) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের
সহিত পরামর্শক্রমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তক তদরুপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্যান্য যে
কোন কর্মকর্তা।
তফসিল-৩
[বিধি-৬(১)]
রাষ্ট্রপতির নিকট সরাসরি উপস্থাপন করিতে হইবে এইরূপ
বিষয় সমূহের তালিকা।
ক্রমিক নম্বর |
বিষয় সমূহের ধরন |
সংবিধানের অনুচ্ছেদ |
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ |
||
১. |
প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ এবং পদত্যাগ |
৫৬(৩)/৫৭, ৪৮(৩) |
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; আইন ও বিচার
বিভাগ [এস আর ও নং ২৭৩-আইন/২০০৯-মপবি-৪/১/২০০৯-বিধি,
তারিখ: ২৩ ডিমেম্বর, ২০০৯ দ্বারা সংশোধিত] |
||
২. |
বাংলাদেশের প্রধান
বিচারপতির নিয়োগ এবং পদত্যাগ |
৯৫(১), ৪৮(৩) |
তফসিল-৪
(বিধি-৭)
প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপন করতে
হবে এইরূপ বিষয়মূহের তালিকা
ক্রমিক নম্বর |
বিষয় সমূহের ধরন |
সংবিধানের অনুচ্ছেদ |
রাষ্ট্রপতির কার্যালয় |
||
১. |
রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের
কর্মকর্তা নিয়োগ (কেবল কর্মকর্তা) এবং সামরিক সচিব এবং এডিসি এবং রাষ্ট্রপতির
সামরিক সচিবের দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ। |
|
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ |
||
২. |
রাষ্ট্রপতির বেতন,
ভাতাদি, বিশেষ অধিকার এবং সরকারি বাসভবনসমূহ। |
১৪৭ |
৩. |
মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী
এবং উপমন্ত্রীবর্গের নিয়োগ এবং পদত্যাগ |
৫৬ (১), ৫৬(২) |
৪. |
সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ
ও বাণী। |
৭৩ |
৫. |
সরকারের কার্যাবলি
বণ্টন ও পরিচালনার জন্য বিধিমালা প্রণয়ন। |
৫৫(৬) |
৬. |
সরকারের কার্যাবলী
বণ্টন ও পরিচালনা সংক্রান্ত বিধিমালার পরিবর্তন ও সংশোধন। |
৫৫(৬) |
৭. |
পদমানক্রম নিরূপণ,
পরিবর্তন ও সংশোধন। |
|
৮. |
যুদ্ধ ঘোষণা। |
৬৩(১) |
৯. |
প্রধান নির্বাচন
কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগণের নিয়োগ পদত্যাগ ও চাকরির শর্তাবলী
নির্ধারণ। |
১১৮(১), (৫) ও (৬) |
৮বি |
প্রধান নির্বাচন
কমিশনার ও কমিশনারগণের অপসারণ। |
১১৮ (৫)ও ৯৬(২) |
৮সি |
নির্বাচন কমিশনের
অনুরোধে প্রয়োজনীয় কর্মচারী প্রদান। |
১২০ |
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় |
||
৯. |
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম
কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ এবং পদত্যাগ। |
১৩৮ (১), ১৩৯(৩) |
১০. |
সংসদ কর্তৃক আইনদ্বারা
বিধান না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের
চাকরির শর্তাবলী নির্ধারণ। |
১৩৮ (২) |
১১. |
বাংলাদেশ সরকারী কর্ম
কমশিনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ। |
১৩৯(২) এবং ৯৬(২) |
১২. |
সংবিধানের অনুচ্ছেদ
১৪০(২) এর বিধান মতে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সহিত পরামর্শ করার পরে ইহার
কোন সুপারিশ গ্রহণ না করার প্রস্তাব। |
১৪০(২ |
১৩. |
যে কোন আইন/প্রবিধির
বিধান সাপেক্ষে অনুচ্ছেদ ১৪০(২) এর অধীনে যে সকল বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি
কর্মকমিশনের সহিত পরামর্শের প্রয়োজন হয় তাহা কমিশনের নিকট প্রেরণ। |
১৪০(২) |
১৪. |
বাংলাদেশ সরকারি
কর্মকমিশনের কার্য সম্পাদন ও কার্যাবলী সম্পর্কে বার্ষিক প্রতিবেদন ও লিখিত
বিবরণ। |
১৪১ |
১৫. |
নিয়মিতভাবে গথিত কোন
ক্যাডার সার্ভিসের কোন পদ প্রথম নিয়োগ |
|
১৬. |
নিয়োগবিধি অনুযায়ী
রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পেশ করিতে হয়, এইরূপ কোন চাকরি বা পদে প্রথম নিয়োগ। |
|
১৭. |
রাষ্ট্রপতি যাহাদের
নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এইরূপ অফিসারগণের বরখাস্ত, অপসারণ, বাধ্যতামূলক অবসরদান,
পদাবনমিত করার বিষয়সমূহ। |
|
১৮. |
সংসদের আইন দ্বারা
নিয়োগগসমূহ নিয়ন্ত্রিত না হওয়া পর্যন্ত প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োজিত
ব্যক্তিবৃন্দের নিয়োগ এবং চাকরির শর্তাবলী নিয়ন্ত্রণের বিধিমালা প্রণয়ন। |
১৩৩ |
১৯. |
রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার
স্বার্থে প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োজিত অসামরিক পদধারী ব্যক্তিবর্গের বরখাস্ত,
অপসারণ অথবা পদাবনমিতকরণ সম্পর্কে কারণ দর্শানোর সুযোগ পরিহার। |
১৩৫ (২) (iii) |
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় |
||
২০. |
প্রতিরক্ষা বাহিনীসমূহের প্রধানগণের (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী
এবং বিমানবাহিনী) নিয়োগ এবং তাঁহাদের বেতন ও ভাতাদি। |
৬২(১) (গ) |
২১. |
সশস্ত্র বাহিনী এবং
সশস্ত্র বাহিনীর সংরক্ষিত অংশসমূহে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত বা ইতোমধ্যে তালিকাভুক্ত
ব্যক্তিবর্গের কমিশন প্রদান। |
৬২(১) (ক) (খ) |
২২. |
বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা
বাহিনীসমূহ এবং উহাদের সংরক্ষিত অংশসমূহের সংগঠন ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত আদেশ
প্রণয়ন। |
৬২(১) (ক) |
২৩. |
কোর্ট মার্শালে শাস্তি
প্রদান ব্যতিরেকে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারগণের বরখাস্ত
(জুনিয়র কমিশন অফিসারগণ ব্যতিরেকে)। |
|
২৪. |
বাংলাদেশ সশস্ত্র
বাহিনীর কমিশন প্রাপ্ত অফিসারগণের (জুনিয়র কমিশন অফিসারগণ ব্যতিরেকে) বরখাস্ত,
অপমানমূলক বরখাস্ত, কারাদণ্ড অথবা কোর্ট মার্শাল কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যুদন্ডের
আদেশের বিরুদ্ধে দরখাস্ত। |
|
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় |
||
২৫. |
কোন আদালত,
ট্রাইব্যুনাল অথবা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ডাদেশ মওকুফ, মার্জনা
অথবা হ্রাসকরণ মঞ্জুর করা। |
৪৯ |
২৬. |
জরুরী অবস্থা ঘোষণা এবং
জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার। |
১৪১ক |
২৭. |
জরুরী অবস্থাকালে মৌলিক
অধিকার বলবৎ স্থগিতকরণ। |
১৪১গ (১) |
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় |
||
২৮. |
বিদেশে বাংলাদেশের
দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত/হাই কমিশনার, মিনিস্টার এবং চার্জ দ্য- এ্যাফেয়ার্সগণের
নিয়োগ ও অপসারণ। |
|
২৯. |
বাংলাদেশে বিদেশী
রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার/চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্সগণের ক্ষমতা প্রদানপূর্বক নিয়োগ
গ্রহণ। |
|
৩০. |
বিদেশী রাষ্ট্র
প্রধানগণের নিকট বার্তা প্রেরণ। |
|
৩১. |
কোন বিদেশী রাষ্ট্র
কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিকগণকে উপাধী, সম্মান, পুরস্কার অথবা ভূষণ প্রদান। |
৩০ |
৩২. |
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত,
হাইকমিশনার এবং চার্জ দ্য এ্যাফোয়ার্সগণের ক্ষমতা প্রদানপূর্বক নিয়োগ প্রদান। |
|
৩৩. |
বাংলাদেশে বিদেশী
কূটনৈতিক মিশন/হাই কমিশন প্রধানকে ক্ষমতা প্রদানপূর্বক নিয়োগ প্রস্তাবের
ব্যাপারে সম্মতি বা অসম্মতি জ্ঞাপন এবং তাহাদিগকে অবাঞ্চিত ব্যক্তি হিসাবে
ঘোষণা। |
|
অর্থ বিভাগ |
||
৩৪. |
[অভ্যন্তরীণ সম্পদ
বিভাগের সহিত সম্পৃক্ত বিষয় সংক্রান্ত অর্থ বিল ব্যতীত অর্থ বিল এবং যে কোন বিল
যাহাতে সরকারি অর্থ ব্যয় যুক্ত রহিয়াছে, উহা উপস্থাপনে রাষ্ট্রপতির সুপারিশ। [মপবি-৪/১/৯৮-বিধি/১৩২,
তারিখ: ১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯ দ্বারা ক্রমিক নং ৩৪ এর এন্ট্রিসমূহ প্রতিস্থাপিত] |
৮২ |
৩৫. |
সংসদের আইন দ্বারা
নিয়ন্ত্রিত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি অর্থের রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংযুক্ত তহবিলের
অর্থ প্রদান ইত্যাদি সংক্রান্ত বিধিমালার প্রণয়ন। |
৮৫ |
৩৬. |
মঞ্জুরী দাবীর জন্য
রাষ্ট্রপতির সুপারিশ। |
৮৯(৩) |
৩৭. |
সংযুক্ত তহবিল হইতে
ব্যয়ের ক্ষমতা প্রদান ও সম্পূরক এবং/অথবা অতিরিক্ত আর্থিক বিবৃতি সংসদে
উপস্থাপনের জন্য প্রস্তাব। |
৯১ |
৩৮. |
বাংলাদেশের মহা হিসাব
নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এর নিয়োগ এবং পদত্যাগ। |
১২৭(১) |
৩৯. |
সংসদের আইন দ্বারা
অনুরূপ বিধান না করা পর্যন্ত মহা হিসাব নিরীক্ষকের চাকরির শর্তাবলী নিরূপণ। |
১২৭(২) |
৪০. |
সংসদের আইন দ্বারা
অনুরূপ বিধান না করা পর্যন্ত সংবিধানের ১২৮(১) এ মহা হিসাব নিরীক্ষকের নির্ধারিত
কার্যাবলীর অতিরিক্ত কার্যাবলী সম্পর্কে আদেশ দ্বারা বিধান প্রণয়ন। |
১২৮(৩) |
৪১. |
বাংলাদেশের মহা হিসাব
নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এর অপসারণ। |
৯৬ (২) এবং ১২৯(২) |
৪২. |
বাংলাদেশের অস্থায়ী মহা
হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এর নিয়োগ। |
১৩০ |
৪৩. |
মহা হিসাব নিরীক্ষক
কর্তৃক নির্ধারিত বলিয়া প্রস্তাবিত প্রজাতন্ত্রের হিসাব রক্ষণের আকার এবং
পদ্ধতি। |
১৩১ |
৪৪. |
সংসদে পেশ করার পূর্বে
প্রজাতন্ত্রের হিসাব সম্পর্কিত মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের প্রতিবেদন। |
১৩২ |
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ [এসআরও নং ০৭-আইন/২০১০-মপবি-৪ (৬)/২০০৯-বিধি,
তারিখ: ৬ জানুয়ারি, ২০১০ দ্বারা সংযোজিত] |
||
৪৫. |
বাংলাদেশ ব্যাংক এর
গভর্নর নিয়োগ |
|
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ |
||
৪৫এ |
অভ্যন্তরীণ সম্পদ
বিভাগের সহিত সম্পৃক্ত বিষয় সংক্রান্ত অর্থ বিল উপস্থাপন রাষ্ট্রপতির সুপারিশ। [মপবি-৪/১/৯৮-বিধি/১৩২,
তারিখ: ১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯ দ্বারা ক্রমিক নং ৪৫ নং উহার বিপরীতে এন্ট্রিসমূহ
সংযোজিত] |
৮২ |
আইন ও বিচার বিভাগ [এস আর ও নং ২৭৩-আইন/২০০৯মপবি-৪(১) ২০০৯-বিধি,
তারিখ: ২৩ ডিসেম্বর, ২০০৯ দ্বারা সংশোধিত] |
||
৪৬. |
বাংলাদেশের এটর্নি
জেনারেলের নিয়োগ। |
৬৪ |
৪৭. |
এটর্নি জেনারেল দায়িত্ব
নির্ধারণ, পারিশ্রমিক নিরূপণ এবং নিয়োগের সমাপ্তি। |
৬৪ (২) এবং (৪) |
৪৮. |
বাংলাদেশের সুপ্রীম
কোর্টের বিচারকগণের নিয়োগ এবং পদত্যাগ। |
৯৫(১) |
৪৯. |
বাংলাদেশের সুপ্রীম
কোর্টের বিচারকগণের অপসারণ। |
৯৬(২) |
৫০. |
সংসদের আইন নির্ধারিত
বা প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সুপ্রীম কোর্টের বিচারকগণের বেতন, ভাতাদি ও বিশেষ
অধিকার সম্পর্কে বিধিমালা প্রণয়ন। |
১৪৭ |
৫১. |
সুপ্রীম কোর্টের আপীল
বিভাগের অব্যবহিত পরর্বতী প্রবীণতম বিচারপতি কর্তৃক প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব
সম্পাদন। |
৯৭ |
৫২. |
সুপ্রীম কোর্টের
অতিরিক্ত বিচারকগণের নিয়োগ ও পদত্যাগ। |
৯৮ |
৫৩. |
রাজধানীর বাহিরে
অন্যান্য স্থানে হাইকোর্ট বিভাগের অধিবেশন অনুষ্ঠান। |
১০০ |
৫৪. |
আইনের কোন প্রশ্নে
সুপ্রীম কোর্টের মতামত গ্রহণ। |
১০৬ |
৫৫. |
সংসদ কর্তৃক প্রণীত যে
কোন আইন সাপেক্ষে সুপ্রীম কোর্টের প্রত্যেক বিভাগের এবং উহার অধীনস্থ যে কোন
আদালতের রীতি ও পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিধিসমূহ প্রণয়ন। |
১০৭(১) |
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ |
||
৫৬. |
রাষ্ট্রপতির নামে
প্রণীত আদেশ ও অন্যান্য চুক্তিপত্র কোনস পদ্ধতিতে সত্যায়িত এবং প্রমাণিকৃত হইবে
তাহা নির্ধারণ করিয়া বিধিমালা প্রণয়ন। |
৫৫ (৫) |
৫৭. |
অধ্যাদেশ জারি |
৯৩(১) ও (৩) |
সংসদ সচিবালয় |
||
৬১. |
সংসদের অধিবেশন আহ্বান,
স্থগিত ও ভংগ করা। |
৭২(১), ৫৭(২) |
৬২. |
ভংগ হওয়ার পর সংসদ পুনঃ
আহ্বান এবং অধিবেশন আহ্বান। |
৭২(৪) |
৬৩. |
রাষ্ট্রপতির সম্মতির
জন্য সংসদ কর্তৃক গৃহীত বিল সমূহ। |
৮০(২) |
তফসিল-৫
(বিধি-৮)
প্রধানমন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করতে হবে এইরূপ
বিষয়সমূহের তালিকা।
ক্রমিক নম্বর |
বিষয় সমূহের ধরন |
সংবিধানের অনুচ্ছেদ |
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় |
||
১. |
কোন অ-সংবিধিবদ্ধ
কমিশসমূহের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের নিয়োগ, পদত্যাগ এবং অপসারণ। |
|
২. |
অ-সংবিধিবদ্ধ
কমিশনসমূহের সদস্যগণের বেতন, ভাতাদি, বিশেষ অধিকার বিষয়ে বিধিসমূহ প্রণয়ন। |
|
৩. |
আন্তর্জাতিক
সংস্থাসমূহের নির্বাহী বা অঙ্গ সংগঠনের যেমন আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল,
বিশ্বব্যাংক ইত্যাদির গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহের বাংলাদেশী নাগরিকগণের মনোনয়ন
প্রদান। |
|
৪. |
সচিবালয়ের উপসচিব হইতে'
সচিব পদমযার্দা সম্পন্ন পদে নিয়োগ। |
|
৫. |
সচিবালয়ের যুগ্ম-সচিব ও
তদূর্ধ্ব পদে বদলী ও পদায়ন। |
|
৬. |
ভূমি আপীল বোর্ড এবং
ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের নিয়োগ। |
|
৭. |
অর্থ প্রতিষ্ঠানসমূহের
চেয়ারম্যান/ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং শিক্ষাবোর্ডসমূহের চেয়ারম্যান ব্যতিরেকে
সংবিধিবদ্ধ সংস্থাসমূহের চেয়ারম্যান/ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ। |
|
৮. |
বিভাগীয় কমিশনার,
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশার এবং জেলা প্রশাসকগণের নিয়োগ, বদলী এবং পদায়ন। |
|
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় |
||
৯. |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর
কর্নেল ও তদূর্ধ্ব পদে এবং নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর তদসমপদমর্যাদাসম্পন্ন পদে
সকল পদোন্নতি। |
|
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় |
||
১০ |
আনসার ও ভিডিপি-তে লেঃ
কর্ণেলের পদমর্যাদাসম্পন্ন ও তদুর্ধ্ব পদসমূহে নিয়োগ। |
|
১১. |
পুলিশ অধিদপ্তরের পুলিশ
সুপার পদমর্যাদাসম্পন্ন ও তদূর্ধ্ব অফিসারগণের নিয়োগ, বদলি এবং পদায়ন। |
|
পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় |
||
১২. |
বিদেশী সরকার
প্রধানগণের নিকট বার্তা। |
|
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। [এস আর ও নং ০৭-আইন/২০১০-মপবি-৪ (৬)/২০০৯-বিধি,
তারিখ: ০৬ জানুয়ারি, ২০১০ সংশোধিত] |
||
১৩. |
জাতীয়করণকৃত ব্যাংকসমূহ
ও উন্নয়ন অর্থ প্রতিষ্ঠান সমূহের চেয়ারম্যান/ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ। |
|
শিক্ষা মন্ত্রণালয় |
||
১৪. |
শিক্ষাবোর্ডসমূহের
চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ। |
|
১৫. |
সংবিধিবদ্ধ সংস্থার
নির্বাহী পরিচালক/সদস্য/পরিচালক, যে নামেই অভিহিত করা হউক, পদে নিয়োগ। শর্ত থাকে
যে, সংবিধিবদ্ধ সংস্থায় পরিচালক (প্রশাসন), পরিচালক (অর্থ), সচিব পদে নিয়োগের
ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সহিত পরামর্শ করিতে হইবে। |
|
১৬. |
সংযুক্ত দপ্তর প্রধান
নিয়োগ। |
|
১৭. |
সংযুক্ত দপ্তর ও
অধীনস্থ অফিসসমূহের জাতীয় বেতন স্কেল-৩ এবং তদুর্ধ্ব সকল পদে নিয়োগ। |
|
১৮. |
জাতীয় বেতন স্কেল-৩ এবং
তদূর্ধ্ব পদসমূহের কর্মকর্তাবৃন্দের সাময়িক বরখাস্তকরণের বিষয়সমূহ। |
|
১৯. |
আন্তর্জাতিক সমাবেশ এবং
সম্মোলনসমূহের প্রতিনিধি প্রেরণ। |
|
২০. |
স্ব-শাসিত,
আধা-স্বশাসিত এবং জাতীয়করণ সংস্থাসমূহের কর্মচারী/কর্মকর্তাবৃন্দের বিদেশে
চিকিৎসা নিমিত্ত বিশেষ বিবেচনায় অনুমতি, যদি এইরূপ চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকার বা
সংশ্লিষ্ট স্ব-শাসিত সংস্থা/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে বহন
করা হয়। |
|
২১. |
অন্য যে-কোনো বিষয়ে,
যাহা প্রধানমন্ত্রী সময়ে সময়ে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা নির্দিষ্ট করেন। |
তফসিল-৬
[বিধি-৬(ii)]
[সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮(৫))
সাময়িক প্রতিবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্র যা অবগতির
জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপন করতে হবে।
ক্রমিক নম্বর |
বিষয়সমূহের ধরণ |
১. |
মন্ত্রণালয়/বিভাগ
সমূহের কার্যাবলীর সাময়িক প্রতিবেদনসমূহ। |
২. |
মন্ত্রিসভা বৈঠকের
সিদ্ধান্তসমূহ। |
৩. |
বিদেশী রাষ্ট্র এবং
আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সহিত সম্পাদিত সম্মতিনামা এবং চুক্তিসমূহ। |
৪. |
সংবিধিবদ্ধ কমিশনসমূহ
এবং অন্যান্য কমিটি/কমিশনের প্রতিবেদন। |
৫. |
সাময়িক গোয়েন্দা
প্রতিবেদনসমূহ। |
৬. |
পররাষ্ট্র বিষয়ক
মন্ত্রণালয় এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতবাস সমূহের গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের
অনুলিপিসমূহ। |
তফসিল-৭
[বিধি-৮(ii)]
সাময়িক প্রতিবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্র যা অবগতির
জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করতে হবে।
ক্রমিক নম্বর |
বিষয়সমূহের ধরণ |
১. |
মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের
কার্যাবলীর সাময়িক প্রতিবেদন। |
২. |
মন্ত্রিসভা বৈঠকের
সিদ্ধান্তসমূহ |
৩. |
সার-সংক্ষেপ এবং
অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ মন্ত্রিসভা কমিটিসমূহের সিদ্ধান্ত। |
৪. |
মন্ত্রিসভার নিকট
মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের কর্তৃক উপস্থাপন করা প্রয়োজন এইরূপ মাসিক/ত্রৈমাসিক
সার-সংক্ষেপ এবং অন্যান্য সাময়িক প্রতিবেদন। |
৫. |
বিদেশী রাষ্ট্র এবং
আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সহিত সম্পাদিত সম্মতিনামা এবং চুক্তিসমূহ। |
৬. |
সংবিধিবদ্ধ কমিশসমূহ
এবং অন্যান্য কমিটি/কমিশনের প্রতিবেদনসমূহ। |
৭. |
সকল গোয়েন্দা সংস্থা
হইতে দৈনিক/সাপ্তাহিক এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সার-সংক্ষেপসমূহ। |
৮. |
প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজন
মনে করেন এইরূপ অন্যান্য কোন প্রতিবেদন। |
0 Comments