সরকারী গোপন আইন, ১৯২৩
[The Official Secrets Act, 1923]
(১৯২৩ সনের ১৯ নং আইন)
(২ এপ্রিল, ১৯২৩)
ধারা : ১ : সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ ও প্রবর্তন [Short title, extent and application]
(১) এই আইন সরকারী গোপনীয়তা আইন, ১৯২৩ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা সমগ্র বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হইবে এবং বাংলাদেশের সকল নাগরিক এবং প্রজাতন্ত্রে নিযুক্ত ব্যক্তিরা যেখানে থাকুক না কেন তাহাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
ধারা : ২ : সংজ্ঞাসমূহ [Definitions]
বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে এই আইনে,-
(১) "সরকারের মালিকাধীন জায়গা(place belonging to Government)" অর্থ সরকারী কোন বিভাগের দখলকৃত জায়গাকে বুঝাবে এবং তাহা ঐ বিভাগে ন্যস্তকৃত থাকুক বা না থাকুক ঐ স্থান সমূহও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।
(২) "যোগাযোগ বা গ্রহণ(communicating or receiving)" প্রসংগে কোন বক্তব্য আংশিক বা সম্পূর্ন যে কোন প্রকৃতির যোগাযোগ বা গ্রহণ এবং স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, আর্টিকেল, নোট, ডকুমেন্ট অথবা তথ্যকে বা ইহার সারাংশ, প্রভাব বা সেই সম্পর্কিত বিবরণ যদি ইহা কেবলমাত্র প্রেরণ বা গ্রহণ সংক্রান্ত হয় এমন কোন স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, আর্টিকেল, নোট বা দলিল সংক্রান্ত বক্তব্য যাহাতে কোন স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, আর্টিকেল, নোট বা দলিল সম্পূর্ণ বা আংশিক অনুলিপিকৃত কোন স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, আর্টিকেল, নোট বা দলিল প্রেরনের বক্তব্য, স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, আর্টিকেল, নোট বা দলিল স্থানান্তর বা ব্যক্তির মাধ্যমে প্রেরণও ইহার অন্তর্ভূক্ত।
(৩) "দলিল(document)" অর্থ দলিলের অংশবিশেষও ইহার অন্তর্ভুক্ত;
(৪) "মডেল(model)" অর্থ নকশা, কারুকাজ এবং নমুনাও ইহার অন্তর্ভূক্ত;
(৫) "যুদ্ধের গোলাবারুদ(munitions of war)" অর্থ যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য নির্মিত বা সেইজন্য ব্যবহৃত কোন জাহাজ সম্পূর্ণ বা আংশিক, সাবমেরিন, বিমান, ট্র্যাংক বা তদ্রূপ ইঞ্জিন, অস্ত্র ও গোলাবারুদ, টর্নেডো বা মাইন এবং তদ্রুপ প্রকৃত ব্যবহারের জন্য অন্য কোন দ্রব্য, বস্তু বা হাতিয়ার ও ইহার অন্তর্ভূক্ত;
(৬) "সরকারের অধীন অফিস(Office under Government)" অর্থ সরকারের যে কোন অফিস বা অফিসের অধীনের কোন চাকুরীও ইহার অন্তর্ভুক্ত;
(৭) "ফটোগ্রাফ(photograph)" একটি undeveloped ফিল্ম বা প্লেট অন্তর্ভুক্ত;
(৮)"নিষিদ্ধ এলাকা(prohibited place)" অর্থ-
(এ) কোন অস্ত্রাগার, নৌ, স্থল বা বিমানবাহিনীর স্থাপনা বা ষ্টেশন, সরকারের মালিকানাধীন খনি, ক্যাম্প, জাহাজ বা বিমান, সামরিক বাহিনীর টেলিগ্রাফ, টেলিফোন, ওয়ারলেস বা সিগনাল স্টেশন অথবা অফিস বা যে কোন ফ্যাক্টরী, ডকইয়ার্ড বা যুদ্ধের উপকরণ স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, দলিল, বা যুদ্ধকালীন ব্যবহৃত ধাতু, তেল বা খনিজ পদার্থ।
(বি) সরকারের পক্ষে কোন ব্যক্তির সংগে চুক্তিবলে সরকারের মালিকাধীন নহে এমন কোন স্থান যেখানে যুদ্ধের সরঞ্জমাদি, কোন স্কেচ, মডেল, প্ল্যান বা ইহার সহিত সম্পর্কযুক্ত দলিল প্রস্তুত, মেরামত, গ্রহণ ও গুদামজাত করা হয়।
(সি) সরকারের মালিকানাধীন বা সরকারী কাজে ব্যবহৃত কোন স্থান বা সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষিদ্ধ এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা হইয়াছে এই উদ্দেশ্যে যে, এই এলাকার ব্যাপারে তথ্য বা এলাকার ক্ষয়ক্ষতি শত্রুর নিকট অতি প্রয়োজন হইতে পারে এবং উক্ত প্রজ্ঞাপনের ইংরেজী এবং বাংলা উভয় ভাষ্যে লিখে তাহা তথায় লটকিয়ে দিতে হইবে।
(ডি) কোন রেলপথ, সড়ক পথ, জলপথ বা অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা যাহা স্থল বা জলপথে (তাহার সহিত সম্পৃক্ত কোন কাজ বা কাঠামে) বা গ্যাস, পানি বা বিদ্যুৎ কাজ বা সরকারি অন্য কোন কাজে ব্যবহৃত কোন জায়গা বা যে জায়গায় সরকারের পক্ষে ব্যতীত অন্য কোন উপায়ে যুদ্ধর উপকরণ বা স্কেচ, মডেল, প্ল্যান বা তৎসম্পর্কিত দলিল প্রস্তুত, মেরামত বা গুদামজাত করা যায়, যাহা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সরকারী গেজেটের মাধ্যমে এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণে নিষিদ্ধ এলাকা হিসাবে ঘোষিত হইয়াছে যে, এতদ সম্পর্কিত তথ্য বা তাহার ধ্বংসকরণ বা বাধা প্রদান বা এই সম্পর্কিত হস্তক্ষেপ শত্রুর জন্য উপকারী হইতে পারে এবং উক্ত প্রজ্ঞাপনের ইংরেজী ও বাংলা উভয় ভাষ্যে লিখে তাহা তথায় লটকিয়ে দিতে হইবে;
তবে উপরোক্ত (সি) বা (ডি) উপ-ধারা মোতাবেক যে সব ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি দ্বারা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে কোন নির্দিষ্ট স্থানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সমীচীন নহে; সেসব ক্ষেত্রে উক্ত বিজ্ঞপ্তি অফিস আদেশের মাধ্যমে জারী করিয়া তাহার অনুলিপি নিষিদ্ধ এলাকার প্রবেশ পথে অথবা নিকটস্থ স্থানে লটকিয়ে প্রদর্শন করিতে হইবে;
(৯) "স্কেচ(sketch)” অর্থ যে কোন আলোকচিত্র অথবা স্থান বা বস্তু উপস্থাপনের অন্য কোন প্রক্রিয়াকেও অন্তর্ভুক্ত করে; এবং
(১০) "পুলিশতত্ত্ববধায়ক(Superintendent of Police)" অর্থ অনুরূপ বা উর্ধতন র্যাংকের বা কোন কর্মকর্তা এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার কর্তৃক যে কোন ব্যক্তিকে পুলিশ সুপারের ক্ষমতা অর্পণ করা হইয়াছে ইহাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করে।
ধারা :৩: গুপ্তচর বৃত্তির জন্য শাস্তি [Penalties for spying]
(১) যদি কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা স্বার্থের পরিপন্থী কোন উদ্দেশ্যে-
(এ) কোন নিষিদ্ধ এলাকার নিকট গমন করে, পরিদর্শন করে, অতিক্রম করে বা ইহার সান্নিধ্যে আসে বা প্রবেশ করে; অথবা
(বি) কোন নকশা, প্ল্যান, মডেল বা নোট তৈরি করে, যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে শত্রুপক্ষের উপকারে আসে বলে মনে হয়, ধারণা করা যায় অথবা নিশ্চিত হওয়া যায়, অথবা
(সি) কোন গোপনীয় সরকারী কোড বা পাসওয়ার্ড বা কোন স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, আর্টিকেল বা নোট বা অন্য কোন দলিল অথবা তথ্য যাহা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শত্রুর উপকারে আসিবে বলিয়া ধারণা করা যায় বা নিশ্চিত হওয়া যায় এবং তাহা সংগ্রহ করে, লিপিবদ্ধ করে বা প্রকাশ করে বা অন্য ব্যক্তিকে প্রেরণ করে; তাহা হইলে সে এই ধারার অধীনে অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইবে।
(২) এই ধারার অধীনে কোন অপরাধ যাহার শাস্তি চৌদ্দ বৎসর পর্যন্ত কারবাস হইতে পারে। এই ধারায় অভিযোগ আনায়নের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা স্বার্থ সম্পৃত্ত কোন বিশেষ কাজে দোষী তাহা প্রমাণের প্রয়োজন হইবে না এবং তাহার বিরুদ্ধে অনুরূপ কোন কার্য প্রমাণিত না হইলেও যদি মামলার প্রাসংগিক আস্থা বা তাহার জ্ঞাত কার্যাবলী যাহা প্রমাণিত হইয়াছে তাহা হইতে দৃষ্ট হয় যে, তাহার উদ্দেশ্য রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা স্বার্থের পরিপন্থী ছিল; এবং যদি কোন নিষিদ্ধ এলাকা বা অনুরূপ কোন স্থানের কোন কিছু সম্পর্কিত কোন স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, আর্টিকেল, নোট, দলিল বা তথ্য অথবা কোন গোপনীয় অফিসিয়াল কোড বা পাসওয়ার্ড তৈরী, আহরণ, সংগ্রহ, রেকর্ড ও প্রকাশ করে বা আইনগত অধিকার প্রাপ্ত না হইয়া তাহা পাচার করে। যদি মামলার অবস্থা, তাহার উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্বার্থর পরিপন্থী, তাহা হইলে ধরিয়া লইতে হইবে যে, উক্ত স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, আর্টিকেল, নোট, দলিলপত্র অথবা তথ্য তৈরী, আহরণ, সংগ্রহ, রেকর্ড, প্রকাশ ও পাচার করা হইয়াছে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্বার্থের পরিপন্থীমূলক উদ্দেশ্যে।
(৩) এই ধারার অধীন কোন অপরাধে দোষী ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদান করা যাইবে–
(এ) যদি কৃত অপরাধ কোন বৈদেশিক শক্তির স্বার্থে বা লাভের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে করা হইয়াছে বলিয়া ধারণা করা গেলে বা প্রমাণিত হইলে অথবা অপরাধটি প্রতিরক্ষা অস্ত্রাগার, নৌ, সেনা বা বিমানবাহিনীর স্থাপনা অথবা ছাউনী, খনি, খনিক্ষেত্র, কারখনা, ডকইয়ার্ড, ফাঁড়ি, জাহাজ বা বিমান অথবা বাংলাদেশের নৌ সেনা, বা বিমান বাহিনী সংক্রান্ত বা কোন গোপনীয় সরকারী সংকেত সম্পর্কিত হয়, তাহা হইলে মৃত্যুদণ্ড বা চৌদ্দ বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবে; অথবা
(বি) অন্যান্য ক্ষেত্রে তিন বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
ধারা :৩(এ): নিষিদ্ধ এবং বিজ্ঞাপিত এলাকার চিত্র, স্কেচ, ইত্যাদি সম্বন্ধে নিষেধাজ্ঞা [Restriction against photographs, sketches, etc., of prohibited and notified areas]
(১) সরকার কর্তৃক বা সরকারের পক্ষে লিখিত কর্তৃত্বের অধীন ক্ষেত্র ব্যতীত কোন ব্যক্তি কোন ধরনের নিষিদ্ধ ঘোষিত স্থান বা অন্য কোন স্থান বা এলাকা যা দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে নিষিদ্ধ বলিয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়া থাকিলে তাহার কোন আলোকচিত্র, স্বেচ, মডেল, প্ল্যান, নোট ইত্যাদি প্রস্তুত করিতে পারিবে না।
(২) সরকার সাধারণ বা বিশেষ আদেশ বলে ইহার অধীনে প্রদত্ত অনুমতি বলে প্রস্তুতকৃত কোন ছবি, স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, নোট বা অন্য কোন উপায়ে সনাক্তকরণের উপযোগী কোন কিছু কোন কর্তৃপক্ষের নিকট পেশপূর্বক অনুমোদন লাভের পূর্বে প্রকাশ না করার বা তাহা বিনষ্ট করিতে পারিবে না।
(৩) যদি কোন ব্যক্তি এই ধারার বিধান লংঘন করে তবে সে তিন বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড বা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
ধারা : ৪: বিদেশী গুপ্তচরের সহিত যোগাযোগ কতিপয় অপরাধ সংঘটনের সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে [Communications with foreign agents to be evidence of commission of certain offences]
(১) ধারা-৩ এর অধীন কোন অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গৃহীত কার্যক্রমে যদি তথ্য পাওয়া যায় যে, উক্ত ব্যক্তি দেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে কোন বিদেশী গুপ্তচরের সহিত যোগাযোগ রক্ষা করিয়া আসিতেছে বা যোগাযোগ রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করিয়াছেন এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা স্বার্থ পরিপন্থীর উদ্দেশ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শত্রুর উপযোগী হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে বা তদুদ্দেশ্যে তথ্যাদি সংগ্রহ বা সংগ্রহে সচেষ্ট তাহা হইলে তাহা ঘটনার সহিত সংশ্লিষ্ট বলিয়া বিবেচিত হইবে।
(২) পূর্ববর্তী বিধানের সামগ্রিকতা অক্ষুন্ন রাখিয়া এই ধারার উদ্দেশ্য সাধনে-
(এ) কোন ব্যক্তি কোন বিদেশী গুপ্তচরের সহিত সংযোগ রক্ষা করিয়াছেন বলিয়া বিবেচিত হইবে যদি-
(i) তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে কোন বিদেশী গুপ্তচরের ঠিকানায় সাক্ষাৎ করিয়াছেন বা সংগদান করিয়াছেন বা তাহার সহিত সম্পৃত্ততা ছিল, অথবা
(ii) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে কোন বিদেশী গুপ্তচরের নাম বা ঠিকানা, বা অন্য কোন তথ্য বিদেশী গুপ্তচর হইতে প্রাপ্ত অথবা অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হইতে তিনি সংগ্রহ করিয়াছেন;
(বি) "বিদেশী গুপ্তচর” অন্তর্ভুক্ত করে যে সকল ব্যক্তি দেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা স্বার্থের পরিপন্থী কোন বিদেশী শক্তি কর্তৃক নিয়োজিত বা কোন বিদেশী শক্তির সহায়ক কোন ঘটনা ঘটাইয়াছেন বা ঘটানোর জন্য নিয়োজিত আছেন বলিয়া সন্দেহ হয় তাহারা বিদেশী গুপ্তচর বলিয়া বিবেচিত হইবে;
(সি) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে কোন ঠিকানা যাহা কোন বিদেশী গুপ্তচরের তথ্য গ্রহণের ঠিকানা হিসাবে ব্যবহৃত হয় বলিয়া সন্দেহ করার যুক্তিসংগত কারণ বা ভিত্তি রহিয়াছে বা যে ঠিকানায় একজন বিদেশী গুপ্তচর বসবাস করে বা তথ্য আদান প্রদানের উদ্দেশ্যে যে ঠিকানায় ঘনঘন যাতায়াত করে বা যেখানে সে কোন ব্যবসা পরিচালনা করে; তাহা কোন বিদেশী গুপ্তচরের ঠিকানা ও সেইরূপ ঠিকানায় যোগাযোগকে বিদেশী গুপ্তচরের সহিত যোগাযোগ মর্মে অনুমান করা যাইতে পারে।
ধারা : ৫ : তথ্যের বেআইনী হস্তান্তর [Wrongful communication, etc., of information]
(১) যদি কোন ব্যক্তির দখলে বা নিয়ন্ত্রণে কোন গোপনীয় সরকারী সংকেত (কোড) বা পাসওয়ার্ড (গুপ্ত শব্দ) বা কোন স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, আর্টিকেল, নোট, ডকুমেন্ট বা তথ্য থাকে যাহা কোন নিষিদ্ধ এলাকা সম্পর্কিত বা যেখানে ব্যবহৃত বা অনুরূপ কোন স্থানের যে কোন কিছুর সহিত সম্পর্কিত বা যাহা এই আইন লংঘন করিয়া প্রণীত বা সংগৃহীত হইয়াছে বা সরকারী পদধারী কোন ব্যক্তি কর্তৃক বিশ্বাসের সহিত তাহাকে অর্পন করা হইয়াছে অথবা সরকারী অফিসে চাকুরীরত বা পূর্বে চাকুরী করাকালীন ব্যক্তি হিসাবে তিনি তাহা সংগ্রহ করিয়াছেন তাহার হেফাজতে থাকার কারণে অবহিত হওয়ার সুযোগ ছিল বা সরকারের পক্ষে সম্পাদিত বা পূর্বে সম্পাদিত কোন চুক্তি হেফাজতে আছে বা অনুরূপ অফিসের পদধারী বা চুক্তি হেফাজতকারী ব্যক্তির অধীনে কর্মরত ছিল বা আছে উক্ত ব্যক্তি—
(এ) যদি তাহা আইনগত অধিকার প্রাপ্ত ব্যক্তির বা আদালতের নিকট অথবা রাষ্ট্রের স্বার্থে অন্য কোন ব্যক্তির নিকট ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট ইচ্ছাকৃতভাবে হস্তান্তর করে; অথবা
(বি) তাহার হেফাজতের থাকা কোন তথ্য কোন বিদেশী শক্তির উপকারার্থে বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী কোন উপায়ে ব্যবহৃত করেন; অথবা,
(সি) এই ধরনের কোন স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, আর্টিকেল, নোট বা গোপনীয় সরকারী সংকেত বা পাসওয়ার্ড বা তথ্য আইনগত অধিকারের মেয়াদ শেষে যদি তাহা নিজের অধিকারের রাখে বা যথাযথ কর্তৃপক্ষে নিকট ফেরত প্রদানের বা হস্তান্তরে সরকারী আদেশ পালন না করে; অথবা
(ডি) যদি উক্ত ব্যক্তি তাহা সংরক্ষণে যথাযথ নিরাপত্তা ও সতর্কতা অবলম্বন না করিয়া নিজেই উক্ত বিষয়গুলির নিরাপত্তা বা ক্ষতির পরিপন্থী কোন কাজ করে, তাহা হইলে তিনি এই ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত হইবে।
(২) যদি কোন ব্যক্তি স্বতঃ প্রবৃত্ত হইয়া কোন গোপনীয় সরকারী কোর্ড বা পাসওয়াড বা কোন স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, আর্টিকেল, নোট, ডকুমেন্ট বা তথ্য গ্রহণ করে বা গ্রহণ করার সময় জানেন বা বিশ্বাস করার যুক্তিযুক্ত কারণ থাকে যে, উক্ত কোড বা পাস ওয়ার্ড বা কোন স্কেচ, প্ল্যান, আর্টিকেল, মডেল, নোট, ডকুমেন্ট বা তথ্য আইন লংঘনক্রমে আদান প্রদান করা হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি এই ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত হইবে।
(৩) এই ধারার অধীনে অপরাধী ব্যক্তি নিম্নোক্ত ভাবে দণ্ডনীয় হইবে-
(এ) উপ-ধারা ১(এ) এর অধীন পরিপন্থী কোনপ্রকার কার্যাদি বা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কাজ, অস্ত্রাগার, নৌ, স্থল বা বিমান বাহিনীর স্থাপনা বা স্টেশন বা খনি, ছাউনী, খনি, মাইনক্ষেত্র, কারখানা, ডকইয়ার্ড, ঘাঁটি, জাহাজ বা বিমান সম্পর্কিত বা অন্যভাবে বাংলাদেশের নৌ, স্থল, বা বিমান বাহিনী সংক্রান্ত গোপনীয় অফিশিয়াল কোড সংক্রান্ত অপরাধ সংঘটিত হইলে এবং তাহা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিদেশী শক্তির স্বার্থে বা সুবিধার্থে ব্যবহৃত হইবে বলিয়া অনুমান বা ধারণা করা হইলে মৃত্যুদন্ডে অথবা চৌদ্দ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ডে দণ্ডিত হইবে; এবং
(বি) অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে দুই বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ডে বা জরিমানা বা উভয় প্রকার দন্ডে দণ্ডিত হইবে।
ধারা : ৬ : মিথ্যা পরিচয় দান বা অননুমোদিত উপায়ে ইউনিফর্ম পরিধান [Unauthorised use of uniforms; falsification of reports, forgery, personation, and false documents]
(১) নিষিদ্ধ ঘোষিত এলাকায় প্রবেশের জন্য বা অন্য ব্যক্তির প্রবেশের সহায়তা করিবার জন্য বা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার পরিপন্থী অন্য কোন উদ্দেশ্যে যদি কোন ব্যক্তি-
(এ) আইনগত কর্তৃত্ব ব্যতীত কোন নৌ, স্থল, বিমান বাহিনীর, পুলিশের বা অন্য কোন সরকারী পোষাক পরিধান করে বা নিজেকে উক্তরূপ ব্যক্তি হিসাবে মিথ্যা পরিচয় দানের জন্য তদ্সাদৃশ্য পোষাক পরিধান করে বা ব্যবহার করে; অথবা
(বি) নিজেকে উক্ত ইউনিফর্ম পরিধান বা ব্যবহার করিবার অধিকারী বলিয়া প্রকাশ করে বা মৌখিক ভাবে বা লিখিত ভাবে কোন মিথ্যা স্বীকারোক্তি বা আবেদন করে বা কোন দলিলপত্র নিজে স্বাক্ষর করে বা তাহার পক্ষে স্বাক্ষরিত হয়; অথবা
(সি) কোন পাসপোর্ট বা কোন নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ বা সরকারী পাশ, অনুমতি, প্রত্যয়নপত্র, লাইসেন্স বা অনুরূপ প্রকৃতির অন্য কোন দলিল জালিয়াতি, পরিবর্তন বা বিকৃত করে বা জাল, পরিবর্তিত অথবা নিয়ম বিরুদ্ধ সরকারী দলিল জ্ঞাতসারে ব্যবহার করে বা নিজ অধিকারে রাখে; অথবা
(ডি) ছদ্মবেশ ধারণ বা সরকারের চাকুরীতে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি হিসাবে নিজেকে মিথ্যাভাবে জাহির অথবা সরকারী দলিল বা গোপনীয় সরকারী কোড বা পাসওয়ার্ড যাহার নিকট যথাসময়ে জারীকৃত বা প্রেরিত হইয়াছে অনুরূপ ব্যক্তিরূপে বা অনুরূপ ব্যক্তি নয় এমনভাবে কিংবা নিজের জন্য বা অন্য কোন ব্যক্তির জন্য কোন সরকারী দলিল, গোপনীয় সরকারী কোড বা পাসওয়ার্ড সংগ্রহের জন্য জ্ঞাতসারে কোন মিথ্যা প্রতিবেদন প্রস্তুত করে; অথবা
(ই) সরকারী বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্ব ব্যতীত সরকারে কোন বিভাগ বা কোন কূটনৈতিক বা সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী কর্তৃপক্ষ যাহারা সরকারের কর্তৃত্ব বলে নিযুক্ত বা কর্তব্যরত তাহাদের মালিকানাধীন বা ব্যবহৃত, ডাই, সীলমোহর বা ষ্ট্যাম্প ব্যবহার বা উক্ত অধিকার বা নিয়ন্ত্রণে রাখেন অথবা অনুরূপ কোন ডাই, সীলমোহর বা ষ্ট্যাম্প প্রতারণা বা জালের উদ্দেশ্য সাদৃশ্যপূর্ণ ডাই, সীলমোহর বা ষ্ট্যাম্প জ্ঞাতসারে ব্যবহার করে বা নিজ অধিকার বা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে
তিনি এই ধারার অধীনে অপরাধ সংঘটনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হইবেন।
(২) যদি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী কোন উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি–
(এ) সম্পূর্ণ বা অসম্পূর্ণ বা ব্যবহারের জন্য জারীকৃত নহে, যখন ইহা সংরক্ষণে তাহার কোন অধিকার নাই অধিকার প্রাপ্ত না হইয়াও অধিকারে রাখে বা ইচ্ছাকৃতভাবে ফেরত প্রদান বা অধিকার ত্যাগের নির্দেশ সত্ত্বেও উক্ত নির্দেশ পালন না করে; অথবা
(বি) তাহার নিজের একক ব্যবহারের জন্য প্রদত্ত কোন সরকারী দলিল করেন বা কোন গোপনীয় সরকারী কোড বা পাসওয়ার্ড অন্য ব্যক্তির আয়ত্তাধীনে রাখার অনুমতি প্রদান করে বা তিনি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির ব্যবহারের জন্য প্রদত্ত কোন সরকারী দলিল বা সরকারী গোপনীয় কোড বা পাসওয়ার্ড কোন আইনানুগ কর্তৃত্ব বা কারণ ব্যতীত নিজ আওতাধীনে রাখেন অথবা কোন সরকারী দলিল খুঁজিয়া পাইলে বা অন্য উপায়ে প্রাপ্ত হইলে স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া তাহা যে ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের জন্য প্রদান করা হইয়াছে তাহাকে বা কোন পুলিশ অফিসারকে প্রত্যার্পন না করেন; অথবা
(সি) কোন আইনানুগ কর্তৃত্ব বা কারণ ব্যতীত পূর্বোক্ত কোন ডাই, সীল বা ষ্ট্যাম উৎপাদন বা বিক্রয় করেন বা বিক্রয়ের জন্য নিজ অধিকারের রাখেন, তহা হইলে তিনি এই ধারার অধীনে অপরাধ সংঘটনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হইবেন।
(৩) এই ধারার অধীন কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
(৪) নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী বা বিমান বাহিনী বা কোন গোপন অফিসিয়াল কোড সম্পর্কিত অপরাধ সংঘটিত হইলে ৩ (২) ধারা অনুযায়ী ইহা যে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার পরিপন্থী তাহা প্রমাণ করা যাইবে, সেইক্ষেত্রে চৌদ্দ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ডে দন্ডিত করা যাইবে।
ধারা : ৭ : বাংলাদেশের পুলিশ বা সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাজে হস্তক্ষেপ [Interfering with officers of the police or members of the armed forces of Bangladesh]
(১) কোন নিষিদ্ধ স্থানের সন্নিকটে এলাকায় কোন ব্যক্তি উক্ত নিষিদ্ধ এলাকায় কর্তব্যরত কোন প্রহরী, রক্ষী বা টহলদান বা অনুরূপ কর্তব্যরত কোন পুলিশ অফিসার বা সসস্ত্র বাহিনীর কোন সদস্যকে বাধাদান, জ্ঞাতসারে বিভ্রান্ত বা অন্যভাবে তাহাদের কার্য সম্পাদনে হস্তক্ষেপ করা যাইবে না।
(২) যদি কোন ব্যক্তি এই ধারার বিধানাবলীয় পরিপন্থী কোন কার্য করে, তাহা হইলে তিনি দুই বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড বা জরিমানা বা উভয় প্রকার দন্ডে দণ্ডিত হইবে।
ধারা : ৮ :অপরাধ সংঘটনের তথ্য প্রদানের দায়িত্ব [Duty of giving information as to commission of offences]
(১) পুলিশ সুপার বা মহা পরিদর্শক পুলিশ কর্তৃক এই বিষয়ে ক্ষমতা প্রাপ্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর এর পদ মর্যাদার নিম্নে নহে, এমন পুলিশ কর্মকর্তা বা মেট্রোপলিটান এলাকায় পুলিশ কমিশনার বা প্রহরারত সেনাবাহিনীর যে কোন সদস্যের চাহিদা অনুযায়ী এই আইনের ৩ ধারা বা ৯ ধারার সহিত পঠিতব্য ৩ ধারার অধীনে কোন অপরাধ বা সন্দিগ্ধ অপরাধ সম্পর্কে তথ্য প্রদান প্রতিটি ব্যক্তির কর্তব্য হইবে এবং যুক্তিসংগত খরচ প্রদান সাপেক্ষে উক্ত তথ্য প্রদানের জন্য উপযুক্ত স্থানের উপযুক্ত সময়ে হাজির হইবেন।
(২) কোন ব্যক্তি উক্তরূপ তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হইলে উক্ত ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় প্রকার দন্ডিত হইবে।
ধারা : ৯ : প্রচেষ্টা, প্ররোচনা, ইত্যাদি [Attempts, incitements, etc.]
যে ব্যক্তি এই আইনের অধীনে কোন অপরাধ সংঘটনে প্রচেষ্টা করে বা সংঘটনে সহায়তা করে তাহাকেও একই দন্ড প্রদান করা হইবে।
ধারা : ১০ : গুপ্তচরকে আশ্রয়দানের শান্তি [Penalty for harbouring spies]
(১) যদি কোন ব্যক্তি তাহার জানামতে অথবা ধারণা করার মত যুক্তিযুক্ত কারণ বিদ্যমান সত্ত্বেও যে ব্যক্তি ৩ ধারার অপরাধ বা ৯ ধারার সহিত পঠিতব্য ৩ ধারার অপরাধ করিতে যাইতেছে বা করিয়াছে তাহাকে আশ্রয় দান করে অথবা নিজস্ব বা তাহার কর্তৃত্বাধীন এলাকায় কোন স্থানে উক্ত ব্যক্তিকে বা ব্যক্তিবর্গকে সমবেত হইবার বা সভা করিবার অনুমতি প্রদান করে তাহা হইলে সে এই ধারায় অপরাধী হইবে।
(২) এই ধারায় উল্লেখিত ক্ষেত্রে উপরোক্ত ব্যক্তিকে আশ্রয় প্রদানের ক্ষেত্রে বা তাহার নিজস্ব বা কর্তৃত্বাধীন এলাকায় মিলিত হইবার বা সভা করিবার অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে, পুলিশ সুপার বা মহাপুলিশ পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টের পদমর্যাদার নিম্নে নহে, এইরূপ পুলিশ কর্মকর্তার বা মেট্রোপলিটন এলাকার পুলিশ কমিশনারের চাহিদা অনুযায়ী উক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ যে কোন তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হইলে এই ধারার অধীন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইবে।
(৩) এই ধারার অধীন কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্তকৃত ব্যক্তি এক বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
ধারা : ১১ : তল্লাশী পরোয়ানা [ Search warrants]
(১) উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীয় ম্যাজিস্ট্রেট হলফী জবানবন্দী গ্রহণপূর্বক প্রাপ্ত তথ্যে যদি সন্তুষ্ট হন যে, এই আইনের আওতায় কোন অপরাধ সংঘটিত হইতেছে বা হইতে যাইতেছে, তাহা হইলে তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পদমর্যাদার নিম্নে নহে, এমন পুলিশ কর্মকর্তাকে উক্ত স্থানে জোরপূর্বক প্রবেশের এবং তথায় উপস্থিত ব্যক্তিদের তল্লাশীর এবং প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হওয়ার যোগ্য স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, আর্টিকেল, নোট, দলিলপত্র অথবা এই প্রকৃতির অন্য কোন প্রমাণ জব্দ করিবার নির্দেশ দিতে পারিবেন।
(৩) তবে উপরোক্ত উপ-ধারা (২) মোতাবেক যখন কোন পুলিশ কর্মকর্তা কার্যক্রম গ্রহণ করেন, তখন তিনি যথাশীঘ্র সম্ভব তাহার প্রতিবেদন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা থানা নির্বাহী অফিসারের নিকট দাখিল করিবেন।
ধারা : ১২ : গ্রেফতারের ক্ষমতা [Power to arrest]
ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ তে যাহা কিছুই থাকুন না কেন,-
(এ) Clause (a) was omitted by Act VIII of 1966.
(বি) এই আইনের অধীনে চৌদ্দ বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দন্ডনীয় অপরাধ ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে; এবং
(সি) নিষিদ্ধ এলাকা সম্পর্কিত ৩ ধারায়, ৯ ধারার সহিত পঠিতব্য ৩ ধারার বা ৫ (১) (এ) (বি) ধারার বা ৬ (১) (এ) ধারার বর্ণিত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যাহার সম্বন্ধে যুক্তি সংগত সন্দেহ রহিয়াছে, এইরূপ ব্যক্তিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যে কোন সদস্য বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করিতে পারিবে। তবে গ্রেফতারের সাথে সাথেই গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে ক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
ধারা : ১৩ : অপরাধসমূহ বিচারে বাধানিষেধ [Restriction on trial of offences]
(১) জেলা ম্যজিস্ট্রেট বা সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা প্রাপ্ত প্রথম শ্রেণীর ম্যজিস্ট্রেটের নিম্ন পর্যায়ের কোন আদালত এই আইনের অধীনে বর্ণিত কোন অপরাধের বিচার করিতে পারিবেন না।
(২) এই আইনের অধীন কোন অপরাধের বিচার ম্যজিস্ট্রেট আদালতে চলাকালীন সময়ে অভিযুক্ত যদি অভিযোগ গঠনের পূর্বে যে কোন সময় দায়রা জজ আদালতে মামলাটি বিচারের আবেদন জানান, ম্যজিস্ট্রেট যদি অভিযুক্তকে অব্যাহতি প্রদান না করে থাকেন, তবে মামলাটি শুধুমাত্র ঐ আদালত কর্তৃক বিচার্য না হওয়া সত্ত্বেও তাহা দায়রা আদালতে বিচারের জন্য প্রেরণ করিবেন।
(৩) সরকারের আদেশ বা কর্তৃত্বের অধীনে বা এই প্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত অন্যান্য কর্মকর্তা কর্তৃক অভিযোগ দায়ের করা না হইলে কোন আদালত এই আইনের অধীনে কোন অপরাধ আমলে লইবেন না।
তবে শর্ত থাকে যে, উপরোক্ত নিয়মে অভিযোগ দায়ের না করা সত্ত্বেও অনুরূপ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা যাইবে অথবা তাহাকে গ্রেফতারের জন্য পরোয়ানা জারী ও কার্যকর করা যাইবে এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে কারা হেফাজতে প্রেরণ বা জামিন মঞ্জুর করা যাইবে। তবে উক্ত নিয়মে অভিযোগ গঠন না করা পর্যন্ত পরবর্তী কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না।
(৪) এই আইনের অধীনে কোন অপরাধে কোন ব্যক্তি বিচারের উদ্দেশ্যে অপরাধটি যে স্থানে প্রকৃতই সংঘটিত হইয়াছে সে স্থানে বা বাংলাদেশের যে স্থানে অপরাধীকে পাওয়া যাইবে সেই স্থানেই সংঘটিত হইয়াছে মর্মে ধর্তব্য হইবে।
(৫) ১৯৬৪ সনের Amending Order দ্বারা বিলুপ্ত হইয়াছে।
(৬) সরকার উপযুক্ত বিবেচনা করিলে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা নির্দেশ প্রদান করিতে পারেন যে, ধারা ৩ বা ৯ ধারার সহিত পঠিতব্য ৩ ধারা বা ৫ ধারার উপ-ধারা (১) এর দফা (এ) অথবা দফা (বি) এর অধীন বা ধারা ৬ (১) (এ) এর অধীন অপরাধসমূহের বিচার পদ্ধতি "Enemy Agents Ordinance, 1943 বা Criminal Law Amendment Act, 1958 (XL of 1958) এর অধীন অপরাধসমূহ বিচারের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী হইবে।
ধারা : ১৪ : মামলার কার্যক্রম চলাকালীন জনসাধারণে উপস্থিতি নিষিদ্ধ [Exclusion of public from proceedings]
মামলার কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে জনসাধারণের উপস্থিতি নিষিদ্ধকরণে আদালতের অন্তনির্হিত কোন ক্ষমতা ক্ষুন্ন না করিয়া তৎসংযুক্ত হিসাবে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন আদালতে এই আইনের অধীনে দায়েরকৃত মামলা চলাকালীন বা আপীল কার্যক্রম চলাকালীন অথবা এই আইনের অধীনে শুনানী চলাকালীন যদি ফরিয়াদীপক্ষ আবেদন জানায় যে, মামলার কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে প্রদেয় কোন সাক্ষ্য বা বিবৃতি প্রকাশ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী হইবে, সেক্ষেত্রে জন সাধারণ বা অংশবিশেষের শুনানীর কোন সময়ে উপস্থিত রাখা সমীচীন হইবে না, সেক্ষেত্রে আদালত এই মর্মে আদেশ জারী করিতে পারিবেন, তবে যে কোন ক্ষেত্রেই দন্ড জনসম্মুখেই প্রদান করিতে হইবে।
ধারা : ১৫ : কোম্পানী ইত্যাদি কর্তৃক সংঘটিত অপরাধসমূহ [Offences by companies, etc.]
এই আইনের অধীন কোন অপরাধে দোষী ব্যক্তি যদি কোম্পানী বা কর্পোরেশন হয়, তাহা হইলে কোম্পানী বা কর্পোরেশনের প্রত্যেক পরিচালক বা কর্মকর্তা যাহাদের জ্ঞাতসারে ও সম্মতিক্রমে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে তাহারা অনুরূপ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইবে।
ধারা : ১৬ :১৯২৭ সনের ১২ নম্বর আইন দ্বারা বাতিলকৃত[Repealed]।
0 Comments