সর্বশেষ আলোচনা

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

***মেধা নেই এমন অজুহাতে কোন কাজ থেকে পালাবেন না, লেগে থাকুন, সফলতা আসবেই।***

প্রশ্ন: পেনশন ও গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের বিধানাবলী আলোচনা করুন।

  

প্রশ্ন: পেনশন ও গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের বিধানাবলী আলোচনা করুন।


প্রশ্ন: পেনশন ও গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের বিধানাবলী আলোচনা করুন।


পেনশন(Pension)

একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চাকুরিতে থাকার পর কোন সরকারি কর্মচারী অবসর গ্রহণ করেন অথবা অবসর গ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করেন তবে তাকে বা তার পরিবারকে দেয়া বেতন ভিত্তিক মাসিক ভাতাই পেনশন। বিএসআর পার্ট ১ বিধি ৩০৬ মতে, পেনশন চার প্রকারের হয়। যথাঃ ক্ষতিপূরণ পেনশন, অক্ষমতাজনিত পেনশন, বার্ধক্যজনিত পেনশন, অবসরজনিত পেনশন।


উল্লেখ্য, অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এর অধীন বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এর ১৫/১২/২০১৫ তারিখের গেজেটমূলে অষ্টম বেতন কাঠামোর আওতায় চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ ২০১৫ জারী করা হয়। উক্ত আদেশের অনুচ্ছেদ ৯ অনুযায়ী, পেনশন ও গ্রাচুইটি এবং সাধারণ ভবিষ্য তহবিল সংক্রান্ত বিষয়ে যথাক্রমে অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগের ১৪/১০/২০১৫ খ্রিঃ তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৬. ১৫-৮১ General Provident Fund Rules, 1979 এর স্মারক এবং এর বিধানাবলি (সর্বশেষ সংশোধিত) অনুসরণীয় হবে।


অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এর অধীন বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এর ১৫/১২/২০১৫ তারিখের গেজেটমূলে অষ্টম বেতন কাঠামোর আওতায় চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ ২০১৫ জারী করা হয় । উক্ত আদেশের অনুচ্ছেদ ১০(১) অনুযায়ী, অবসরভোগী ও আজীবন পারিবারিক পেনশনভোগী কর্মচারীগণ নিম্নরুপ পেনশন ও গ্র্যাচুইটি প্রাপ্য হবেন । যথা :-

(ক) পেনশন, সমর্পণ ও গ্র্যাচুইটির বিদ্যমান হার অপরিবর্তিত থাকবে ।


(খ) মাসিক নীট পেনশনপ্রাপ্ত অবসরভোগী ও আজীবন পারিবারিক পেনশনভোগী ৬৫ বৎসর ঊর্ধ্ব পেনশনভোগীর নীট পেনশনের পরিমাণ ৫০% বৃদ্ধি এবং অন্যান্যদের ক্ষেত্রে নীট পেনশনের পরিমাণ ৪০% বৃদ্ধি পাবে। 


(গ) বেতনস্কেল ২০১৫ কার্যকর হবার তারিখ হতে মহার্ঘভাতা (নীট পেনশনের ২০%) বিলুপ্ত হবে।

(ঘ) অবসরভোগী ও আজীবন পারিবারিক পেনশনভোগীদের নীট পেনশনের পরিমাণ হবে সর্বনিম্ন ৩,০০০/- টাকা ।


(ঙ) ০১/০৭/২০১৫ তারিখ হতে কর্মরত কোন কর্মচারী (স্বামী/স্ত্রী) মৃত্যুবরণ করলে উক্ত ব্যক্তির পরিবার, পারিবারিক পেনশনের প্রচলিত নিয়মাবলী অনুসরণ সাপেক্ষে পেনশন, আনুতোষিক ও ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। 


উক্ত আদেশের অনুচ্ছেদ ১০ (২) অনুযায়ী, বিদ্যমান ছুটির বিধান অনুযায়ী কোন কর্মচারী ছুটি পাওনা সাপেক্ষে- (ক) ১২ (বার) মাস পূর্ণ গড় বেতনে অবসরোত্তর ছুটি ভোগের সুবিধা পাবেন।  (খ) ১৮ (আঠারো) মাস ছুটি নগদায়নের সুবিধা ভোগ করবেন । 


উক্ত আদেশের অনুচ্ছেদ ১০(৩) অনুযায়ী, উপ-অনুচ্ছেদ (২) এর অধীন প্রাপ্য সুবিধা ০১/০৭/২০১৫ তারিখের পূর্বে প্রাপ্য হবে না; তবে শর্ত থাকে যে, ০১/০৭/২০১৫ তারিখে বা উহার পর যে সকল কর্মচারী ইতোমধ্যে পিআরএল ভোগরত রয়েছেন তারা পিআরএল ছুটি পূর্ব মূল বেতনের ভিত্তিতে ছুটি পাওনা সাপেক্ষে ১৮ মাস ছুটি নগদায়নের সুবিধা প্রাপ্য হবেন।


৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সী পেনশনারের পেনশন ও চিকিৎসা ভাতা হার বিধান


প্রবিধি-১ অধিশাখা,প্রবিধি অনুবিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এর ৩০ মে ২০১৯ তারিখের ০৭.০০.০০০০. ১৭১.১৩.০০২.১৩-৬০ নম্বর স্বারকের মাধমে জাতীয় বেতনস্কেল, ২০১৫ জারির ফলে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সী পেনশনারের পেনশন ও চিকিৎসা ভাতার হার নির্ধারণের বিষয়ে উদ্ভূত সমস্যা নিরসনে অর্থ বিভাগের মতামত নিম্নরূপ :


  1. মাসিক নিট পেনশনপ্রাপ্ত অবসরভোগী ও আজীবন পারিবারিক পেনশনভোগীগণের বয়স যে তারিখে ৬৫ বছর ১ দিন পূর্ণ হবে সে তারিখ হতে ৩০-০৬-২০১৫ তারিখে প্রাপ্ত নিট পেনশনের ভিত্তিতে তাদের নিট পেনশনের পরিমাণ ৫০% বৃদ্ধি পাবে। তবে ০১-০৭-২০১৫ তারিখের পূর্বে যাদের বয়স ৬৫ বছরের কম ছিল তাদের পেনশনের পরিমাণ প্রথমে ৩০-০৬-২০১৫ তারিখে প্রাপ্ত নিট পেনশনের উপর ০১-০৭-২০১৫ তারিখে ৪০% বৃদ্ধি পাবে এবং যে তারিখে তাদের বয়স ৬৫ বছর ১ দিন পূর্ণ হবে সে তারিখ হতে তাদের পেনশন ৩০-০৬-২০১৫ তারিখের নিট পেনশনের ভিত্তিতে অবশিষ্ট (৫০%-৪০%) =১০% বৃদ্ধি প্রদেয় হবে।



  1.  মাসিক নিট পেনশনপ্রাপ্ত অবসরভোগী ও অজীবন পারিবারিক পেনশনভোগীগণের বয়স যে তারিখে ৬৫ বছর ১ দিন পূর্ণ হবে সে তারিখ হতে তারা ২৫০০/- টাকা হারে মাসিক চিকিৎসা ভাতা প্রাপ্য হবেন। 

  2. যে সকল পেনশনার প্রতি বছর ০১ জুলাই তারিখে নিট পেনশনের উপরে ৫% ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার পর একই বছরে ৬৫ বছর ঊর্ধ্ব বয়সে উপনীত হবেন তাদের ক্ষেত্রে একই বছরে অবশিষ্ট ১০% বৃদ্ধিজনিত কারণে ২ বার নিট পেনশন বৃদ্ধি করার অপশন অনলাইনে (iBAS++) চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একইভাবে উক্ত পেনশনার একই বছরে যে তারিখে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সে উপনীত হবেন সে তারিখ হতে চিকিৎসা ভাতা মাসিক ২৫০০/-টাকা হারে প্রাপ্তির অপশন অনলাইনে (iBAS++) চালু করতে হবে।



গ্র্যাচুইটি/আনুতোষিক 


অবসর গ্রহণের পর একটি পেনশনের (মূল বেতনের) একটি নির্দিষ্ট অংশ সমর্পণ করতে হয়। যে অংশ সমর্পণ করা হয় তা একটি নির্দিষ্ট হারে সমর্পণ অংশের পরিবর্তে এককালীন যে অর্থ পান তাই আনুতোষিক বা গ্র্যাচুয়িটি।

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ অনুসারে নির্ধারিত সময় চাকরি সম্পন্ন করবার পর অবসর গ্রহণকালীন সময় এককালীন যে আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন, ঐ আর্থিক সুবিধাকে গ্র্যাচুইটি বা আনুতোষিক বলা হয় ।


স্মারক নং MFP (FD)/Regn-1/3P-22/82/147 তারিখ ২১/১২/১৯৮২ খ্রি: মূলে কর্মচারী তার গ্রস পেনশনের অর্ধেক বাধ্যতামূলক ভাবে সমর্পণ করবেন এবং তার পরিবর্তে তিনি গ্র্যাচুইটি পাবেন ।


অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখা ১ এর স্মারক নং ০৭.০০.০000,171,13.027. ১৩-১৬০ তারিখ ২৩/১২/২০১৩ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এর অধীন বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এর ১৫/১২/২০১৫ তারিখের গেজেটমূলে অষ্টম বেতন কাঠামোর আওতায় চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ ২০১৫ অনুসারে বাধ্যতামূলকভাবে সমর্পণকৃত প্রতি ১ টাকার জন্য নিম্নোক্ত হারে অনুতোষিক পাবেন। পেনশনযোগ্য চাকরি কাল-


i) ৫ বছর বা ততোধিক কিন্তু ১০ বছরের কম = সমর্পণকৃত প্রতি ১ টাকার জন্য ২৬৫/- টাকা হারে আনুতোষিক পাবেন ।

ii) ১০ বছর বা ততোধিক কিন্তু ১৫ বছরের কম = সমর্পণকৃত প্রতি ১ টাকার জন্য ২৬০/- টাকা হারে আনুতোষিক পাবেন ।

iii) ১৫ বছর বা ততোধিক কিন্তু ২০ বছরের কম = সমর্পণকৃত প্রতি ১ টাকার জন্য ২৪৫/- টাকা হারে আনুতোষিক পাবেন।

iv) ২০ বছর বা ততোধিক = সমর্পণকৃত প্রতি ১ টাকার জন্য ২৩০/- টাকা হারে আনুতোষিক পাবেন।


(সরকারি কর্মচারীদের পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০ এর সংযোজনী-১৯)


পেনশন (সাধারণ ও পারিবারিক)


পেনশন বিষয়ে FAQ


১। পারিবারিক পেনশন কখন থেকে চালু হয় ?

উত্তর : ০১/০৬/১৯৯৪ খ্রি: হতে।

  • সূত্র:ফাইন্যান্স এন্ড রেভিনিউ ডিপার্টমেন্টের অডিট ব্রাঞ্চের মেমো নং- ২৫৬৬(৪০)-এফ, তারিখ: ১৬/০৪/১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দ
  • অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের স্মারক নং- অম/অবি/বিধি-১/৩পি-২/২০০৫(অংশ-১)/৫, তারিখ: ২৭/০১/২০০৯ খ্রিস্টাব্দ অনুসারে পূর্ণ হারে আজীবন পারিবারিক পেনশন পাবেন।



২। কারা কারা আজীবন পেনশন পাবে ?

উত্তর : মূল পেনশনার, স্ত্রী এবং প্রতিবন্ধী সন্তান।

  • সূত্র:অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের স্মারক নং- অম/অবি/বিধি-১/৩পি-৩/২০০৫/৩৭৬, তারিখ: ১৩/১১/২০০৭ খ্রিস্টাব্দ
  • অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের স্মারক নং- অম/অবি/বিধি-১/বিবিধ-৩/২০০৬/৪০৬, তারিখ: ১৩/১১/২০০৭ খ্রিস্টাব্দ



৩। স্ত্রীর পেনশন স্বামী পাবে কি ?

উত্তর : আজীবন পাবে, তবে পেনশনারের অবসর গ্রহণ হতে ১৫ বৎসরের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে, স্বামীর পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে।

  • সূত্র:অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের স্মারক নং- ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৩.১৮-১৩৮, তারিখ: ১৪/১১/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ



৪। ধরা যাক ১ম স্ত্রী নি: সন্তান, ২য় স্ত্রীর ৪ সন্তান, এমতাবস্থায় কে কত শতাংশ পাবে?

উত্তর : মোট পেনশন ১৬আনা। স্ত্রী সন্তান মিলে ৪ জনের অধিক হলেই ২ জন স্ত্রী ৪+৪ আনা পাবে, বাকী ৮ আনা সমান হারে সন্তানদের মাঝে বন্টন হবে। অর্থাৎ ১ম স্ত্রী ৪ আনা আর ২য় স্ত্রী সন্তানদের অংশ সহ (৪+৮)=১২ আনা পেনশন পাবে।

  • সূত্র:ফাইন্যান্স এন্ড রেভিনিউ ডিপার্টমেন্টের অডিট ব্রাঞ্চের মেমো নং- ২৫৬৬(৪০)- এফ, তারিখ: ১৬/০৪/১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দ



৫। শতভাগ পেনশন সমর্পণ করতে পারবে না কখন থেকে ?

উত্তর : ০১/০৭/২০১৭খ্রি: হতে।

  • সূত্র:অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের স্মারক নং- ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৫.১৬-০৬, তারিখ: ০৯/০১/২০১৭ খ্রিস্টাব্দ



৬। বিধবা বা তালাক প্রাপ্ত কন্যাগণ পেনশন পাবে কি ?

উত্তর : স্বামী-স্ত্রীর অবর্তমানে সর্বোচ্চ ১৫ বৎসরের অবশিষ্ট সময়টুকুর জন্য পেনশন পাবে।

  • সূত্র:বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের স্মারক নং- সিএজি/পদ্ধতি-২/৪৬১/(খন্ড ৪)/২৮৯/(১), তারিখ: ২০/১০/২০০২ খ্রিস্টাব্দ
  • অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের স্মারক নং- অম/অবি/বিধি-১/৩ পি-২/২০০৫(অংশ-১)/৫, তারিখ: ২৭/০১/২০০৯ খ্রিস্টাব্দ



৭। শতভাগ সমর্পণকারী পেনশনার মারা গেলে পরিবারবর্গ উৎসব ভাতা পাবে কি ?

উত্তর : যোগ্য ওয়ারিশ থাকলে পাবে, তবে তাহা ০১/০২/২০১৬খ্রি: হতে পাবে, তাহার পূর্বের কোন বকেয়া পাবে না।

  • সূত্র:অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের স্মারক নং- ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০১৩.১৩-৭২, তারিখ: ১১/০৭/২০১৬ খ্রিস্টাব্দ



৮। একজন চাকুরীজিবী কত বৎসর চাকুরী করলে পেনশন পাবে ?

উত্তর : সর্বনিম্ন ৫ বৎসর।

  • সূত্র:অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের স্মারক নং- ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৬.১৫-৮১, তারিখ: ১৪/১০/২০১৫ খ্রিস্টাব্দ



৯। পেনশনারগণ ২৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা কখন পায় ?

উত্তর : ৬৫ বৎসর পূর্ণ হলে।

  • সূত্র:অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এস.আর.ও নং ৩৬৯-আইন/২০১৫{চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫}



১০। আমার পিতার জন্ম ০১/০১/১৯৪৮ সালে, তাহলে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী কি কি সুবিধা পাবে?

উত্তর : ৫০% পেনশন বৃদ্ধির সুবিধা পাবে।

  • সূত্র:অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এস.আর.ও নং ৩৬৯-আইন/২০১৫



১১। সরকারী কর্মচারীর মত পেনশনার ও কি "বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট" পাবে ?

উত্তর : হ্যাঁ, পাবে। তবে ০১/০৭/২০১৭ হতে কার্যকর হবে।

  • সূত্র:অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের স্মারক নং- ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৫.১৬-০৬, তারিখ: ০৯/০১/২০১৭ খ্রিস্টাব্দ



১২। পেনশনারদের জন্য ২টি উৎসব ভাতা কখন চালু হয় ?

উত্তর : ০১/০৭/২০০৮ ইং হতে।

  • সূত্র:অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের স্মারক নং-অম/অবি/বিধি-১/চা:বি:-৩/২০০৪/৯৯, তারিখ: ২৪/০৬/২০০৮ খ্রিস্টাব্দ



১৩। পেনশনারগণ নববর্ষ ভাতা পাবে কি ?

উত্তর : হ্যাঁ, পাবে। এপ্রিল/২০১৭ হতে পাবে।

  • সূত্র:অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এস.আর.ও নং ৩৬৯-আইন/২০১৫



১৪। আমার চাকুরী ৬ বৎসর পূর্ণ হয়েছে, সেচ্ছায় অবসরে যেতে পারব কি ?

উত্তর : না, তবে কেউ অসুস্থ হলে মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক অক্ষমতা সনদের পর তা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত হলে মঞ্জুরী সাপেক্ষে অক্ষমতা পেনশনে যাওয়া যায়।

  • সূত্র:গণকর্মচারী (অবসর) আইন, ১৯৭৫
  • বিএসআর পার্ট-১ এর বিধি-৩২২



১৫। একটানা কত মাস যাবৎ পেনশন না নিলে পরবর্তীতে পেনশন নিতে হলে পেনশনার কর্তৃক আবেদন দাখিল করতে হবে কি?

উত্তরঃ একটানা ১২ মাস যাবৎ পেনশন না নিলে পরবর্তীতে পেনশন নিতে হলে পেনশনার কর্তৃক আবেদন দাখিল করতে হবে অথবা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে পেনশন নিতে হবে।

  • সূত্র:অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের স্মারক নং-অম/অবি/বিধি-১/৩ পি-২/২০০৫(অংশ-১)/৫, তারিখ: ২৭/০১/২০০৯ খ্রিস্টাব্দ



১৬। গুরতর অসুস্থ পেনশনারকে ইএফটি’র আওতায় আসতে হলে পেনশনারকে উপস্থিত থাকতে হবে কিনা?

উত্তরঃ না, এমতাবস্থায় সংস্লিস্ট পে পয়েন্ট অফিস তার নিজস্ব নিয়মে বা ব্যবস্থাপনায় পেনশনারকে ইএফটির আওতায় আনবে।

  • সূত্র:হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের স্মারক নং-০৭.০৩.০০০০.০১০.০৮.৮৩৯.১৮-৩৭৫, তারিখ: ২৮/০৭/২০১৯ খ্রিস্টাব্দ



১৭। পেনশন ইএফটি হলে কতদিন পর পর একাউন্টস অফিসে আসতে হবে?

উত্তরঃ পেনশন ইএফটি হলে ১১ মাসে একবার একাউন্টস অফিসে আসতে হবে।

  • সূত্র:হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের স্মারক নং-০৭.০৩.০০০০.০১০.০৮.৮৩৯.১৮-৩৭৫, তারিখ: ২৮/০৭/২০১৯ খ্রিস্টাব্দ



১৮। কল্যাণ কর্মকর্তা কে এবং তাঁর কাজ কী ?

উত্তর : অবসরগমনকারী সরকারী কর্মচারীগণের পেনশন কেইস প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রত্যেক মন্ত্রনালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর পেনশন কেইস প্রক্রিয়াকরণে সরাসরি সম্পৃক্ত একজন কর্মকর্তাকে কল্যাণ কর্মকর্তা হিসাবে মনোনয়ন প্রদান করেন। পেনশন কেবাস নিস্পত্তিতে তিনি সমন্বয়ক হিসাবে কাজ করেন।

  • সূত্র:সরকারী কর্মচারীগণের পেনশন সহজীকরণ আদেশ,২০২০ এর ২.০১



১৯। প্রত্যাশিত শেষ বেতনপত্র (ইএলপিসি) কখন জারী করতে হয় ?

উত্তর : সরকারী কর্মচারী অবসর-উত্তর ছুটিতে গমনের ১১(এগার) মাস পূর্বে প্রত্যাশিত শেষ বেতনপত্র (ইএলপিসি) জারী করবেন।

  • সূত্র:সরকারী কর্মচারীগণের পেনশন সহজীকরণ আদেশ,২০২০ এর ২.০৫



২০। সাময়িক পেনশন বলতে কি বোঝায় ?

উত্তর : যে সকল পেনশন কেইস না-দাবি প্রত্যয়নপত্র অথবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদির অভাবে নিস্পত্তি করা সম্ভব হয়না সেই সকল ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর/উপযুক্ত উত্তরাধিকারীর আবেদনক্রমে প্রাপ্য আনুতোষিকের শতকরা ৮০ ভাগ এবং প্রাপ্য নিট পেনশন সাময়িকভাবে প্রদান করতে হবে- এটাই সাময়িক পেনশন।

  • সূত্র:সরকারী কর্মচারীগণের পেনশন সহজীকরণ আদেশ,২০২০ এর ২.১১



২১। পেনশন পুন:স্থাপন বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর : শতভাগ পেনশন সর্মপনকারী সরকারী কর্মচারীগণ অবসরগ্রহণের তারিখ হতে ১৫ বছর সময় অতিক্রান্তের পর মাসিক পেনশনের সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন- এটাই পুন:স্থাপিত পেনশন।

  • সূত্র:সরকারী কর্মচারীগণের পেনশন সহজীকরণ আদেশ,২০২০ এর ২.১৩



২২। শতভাগ পেনশন সর্মপনকারী সরকারী কর্মচারীগণ পুন:স্থাপিত পেনশন সুবিধা প্রাপ্ত হবার পূর্বে মারা গেলে ১৫ বছর পূর্তিতে তার বৈধ্য উত্তরাধিকারীগণ কী পুন:স্থাপিত পেনশন সুবিধা পাবেন ?

উত্তর : প্রাপ্য হবেন না।

  • সূত্র:সরকারী কর্মচারীগণের পেনশন সহজীকরণ আদেশ,২০২০ এর ৪.০১



২৩। শতভাগ পেনশন সর্মপনকারী সরকারী কর্মচারীগণ পুন:স্থাপিত পেনশন সুবিধা প্রাপ্ত হবার পূর্বে মারা গেলে ১৫ বছর পূর্তিতে তার বৈধ উত্তরাধিকারীগণ কোন ধরণের পেনশন সুবিধা পাবেন ?

উত্তর : সর্মপিত পারিবারিক পেনশন সুবিধা প্রাপ্য হবেন। অর্থ্যাৎ মাসিক পেনশন ব্যতিত অন্যান্য ভাতাদি (উৎসবভাতা, চিকিৎসাভাতা, নববর্ষভাতা) পাবেন।

  • সূত্র:অর্থবিভাগের স্মারক নং: ০৭.০০.০০০.১৭১.১৩.০১৩.১৩-৭৪ তারিখ: ০৩.০৮.২০১৭ খ্রি.



২৪। পেনশনারের “জীবন প্রমান (Life Verification)” কী?

উত্তর : জিএফআর এর বিধি ….অনুযায়ী প্রতি এগারতম মাসে পেনশনারকে স্বশরীরে পে পয়েন্টে হাজির হয়ে জীবিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে-এটাই জীবন প্রমান (Life Verification)। ইএফটি প্রহণরত পেনশনারগণের ক্ষেত্রেও উক্ত বিধি প্রযোজ্য। সে আলোকে EFT গ্রহণরত পেনশনারগণকে EFT পেমেন্ট শুরুর সময় হতে ১১ তম মাসে স্বশরীরে পে পয়েন্টে হাজির হয়ে Life Verification সম্পন্ন করতে হবে।

  • সূত্র:জিএফআর



২৫। পেনশনারকে “জীবন প্রমান (Life Verification) এর বিষয়টি পূর্বেই অবহিত করা হয় কী ?

উত্তর : হ্যাঁ । পেনশনারকে ১০ মাসে মোবাইল ফোনে এসেএমএম এর মাধ্যমে অবহিত করা হয়।

  • সূত্র:স্মারক নং- সিএও/পিএফএম/সিজিএ যোগাযোগ/৪৩/১৩৮ তারিখ: ০৫.১২.২০১৯ খ্রি.



২৬। পেনশনার যথাসময়ে “জীবন প্রমান (Life Verification) সম্পন্ন না করলে কী পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে ?

উত্তর : হ্যাঁ, স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেনশন পেমেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।

  • সূত্র:স্মারক নং- সিএও/পিএফএম/সিজিএ যোগাযোগ/৪৩/১৩৮ তারিখ: ০৫.১২.২০১৯ খ্রি.



২৭। “জীবন প্রমান (Life Verification) এর জন্য যে পে পয়েন্ট হতে পেমেন্ট করা হচেছ পেনশনারকে কী সেই পে পয়েন্টেই যেতে হবে, না যেকোন পে পয়েন্টে যেতে হবে?

উত্তর : যে কোন পেনশনার যে কোন পে-পয়েন্ট হতে Verified হতে পারবে। পেনশনার তার সুবিধাজনক যে কোন পে পয়েন্ট হতে Verified হতে পারবে।

  • সূত্র:স্মারক নং- সিএও/পিএফএম/সিজিএ যোগাযোগ/৪৩/১৩৮ তারিখ: ০৫.১২.২০১৯ খ্রি.



২৮। সরকারী কর্মচারীর মত পেনশনার ও কি "বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট" পাবে ?

উত্তর : হ্যাঁ, পাবে। তবে ০১/০৭/২০১৭ হতে কার্যকর হবে।

  • সূত্র:অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের স্মারক নং- ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৫.১৬-০৬, তারিখ: ০৯/০১/২০১৭ খ্রিস্টাব্দ


Post a Comment

0 Comments